উত্তর আমেরিকা
বিদেশে এখন
0

যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে ট্রাম্প সরাসরি কোনো পদক্ষেপ না নিলেও, এবার সেই পথেই হাঁটছেন তিনি। শুরুতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে যুদ্ধ বন্ধের হুঁশিয়ারি, পরে ইউক্রেনকে রসদ না পাঠানোর ঘোষণা, সব মিলিয়ে যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্টের। তবে এর মধ্যেও অব্যাহত রয়েছে দুই দেশের আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলে, ১ দিনের মাথায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করে দেবেন- নির্বাচনী প্রচারণায় এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিশ্বজুড়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তবে, নির্বাচনে জয়ী হয়ে পুনরায় ট্রাম্পের হোয়াইট হাউজে প্রত্যাবর্তনের সপ্তাহ না পেরোতেই, রুশ ভূ-খণ্ডে বড় ধরণের হামলা চালালো ইউক্রেন। ১২১টি ড্রোন দিয়ে একযোগে চালানো হয় এ হামলা। প্রায় তিনবছরের যুদ্ধে যা ছিল অন্যতম বড় অভিযান। মস্কো ও রায়াজানসহ ১৩টি অঞ্চলের জ্বালানি স্থাপনায় হামলা চালায় তারা।

কিয়েভের নজিরবিহীন ওই হামলার প্রতিবাদে এবার ইউক্রেনীয় ভূ-খণ্ডে ৬০ টি ড্রোন দিয়ে পাল্টা হামলা চালালো মস্কো। এতে, ধ্বংস হয়ে গেছে বেশ কয়েকটি বহুতল ভবন ও স্থাপনা।

সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রতিহত করতে আরো সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে রুশ সেনারা। শনিবার এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয় রুশ প্রতিরক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে। জানানো হয়, খেরসন ও দোনেৎস্কে ইউক্রেনীয় সেনাদের রুখতে আরও অগ্রসর হয়েছে মস্কোর সেনারা।

এদিকে যুদ্ধ বন্ধে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে চাপ দিয়ে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যথায় নতুন নিষেধাজ্ঞার হুমকিও দিচ্ছেন তিনি। যদিও এ বিষয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছেন পুতিন।

একদিকে যখন পুতিনকে যুদ্ধ বন্ধের চাপ দিচ্ছেন ট্রাম্প, অন্যদিকে ইউক্রেনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সহায়তা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মার্কিন স্বার্থ রক্ষায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এমন উদ্যোগ নিলেও, দিনশেষে যুদ্ধ বন্ধের পথেই হাঁটতে হবে ইউক্রেনকে- এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এএম