উত্তর আমেরিকা
বিদেশে এখন
0

দু’দিন পেরোলেও এখনো অজানা নিউ অরলিন্সে সন্ত্রাসী হামলার রহস্য

নিউ অরলিন্সে সন্ত্রাসী হামলায় ১৫ জনকে হত্যার ঘটনা একাই বাস্তবায়ন করেছেন শামসুদ্দিন জাব্বার। তবে দুইদিন পেরিয়ে গেলেও হামলার পেছনের উদ্দেশ্য বের করা সম্ভব হয়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, হামলাকারী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসের অনুগত ছিলেন। উগ্রবাদকে যুক্তরাষ্ট্রে ঘাঁটি গড়তে দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন জো বাইডেন।

যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের নিউ অরলিন্সে সন্ত্রাসী হামলার পেরিয়ে গেছে দুই দিন। অথচ হামলার উদ্দেশ্য এখনো বের করতে পারেনি গোয়েন্দারা।

মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এর দাবি, বন্দুক হামলা ও ট্রাক চাপা দিয়ে ১৫ জনকে হত্যার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তি একজনই। হামলায় শামসুদ্দিন জাব্বার নামক সাবেক মার্কিন সেনার কোনো সহচর ছিল না। যদিও হামলাকারীর পোস্টার প্রকাশ করে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে এফবিআই।

এফবিআইয়ের কর্মকর্তা ক্রিস্টোফার রাইয়া বলেন, ‘এই সময়ে আরেকটি তথ্য পরিষ্কার করতে চাই। আমাদের প্রাপ্ত তথ্য বলছে শামসুদ্দিন জাব্বার ছাড়া হামলায় কেউ জড়িত ছিলো না। ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে আপনাদের জানানো হয়েছে।’

এদিকে হামলার বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জানান, একা হামলা চালালেও শামসুদ্দিন জাব্বার জঙ্গি গোষ্ঠী আইসিসের অনুগত ছিল। তাই হামলাকারীর ট্রাকে পাওয়া গেছে আইসিসের পতাকা। উগ্রবাদকে যুক্তরাষ্ট্রে ঘাঁটি গড়তে দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘আমাদের ভয় পাওয়া উচিত হবে না। এই সংকট থেকে আমরা উতরে যাবো। আইসিস ও অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলবে। তারা যুক্তরাষ্ট্রে নির্ভয়ে থাকতে পারবে না।’

উগ্রবাদের সঙ্গে সেনা সদস্য জড়িয়ে পড়ার ঘটনায় মার্কিন মুল্লুকে ছড়িয়ে পড়েছে উৎকণ্ঠা। বিশ্লেষকদের দাবি, সামরিক বাহিনীর সদস্যরা কট্টরপন্থার দিকে ঝুঁকতে শুরু করলে তৈরি হবে নাগরিকদের নিরাপত্তা ঝুঁকি।

সিএসআইএসআইএসের পরিচালক ড্যানিয়েল বাইম্যান বলেন, ‘সামরিক সদস্যরা অস্ত্র ও বিস্ফোরক ব্যবহারে প্রশিক্ষিত। তারা সুশৃঙ্খলভাবে জীবন কাটায়। বিপরীতে সন্ত্রাসীরা অনেক সময় বোকার মতো কিছু ভুল করে। যেটা সেনা সদস্যদের ক্ষেত্রে দেখা যায় না। পুরো বিষয়টি উদ্বেগজনক।’

এদিকে হামলা স্থল বারবন স্ট্রিটে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে জনজীবন। বুলেটের ক্ষত পরিষ্কারে ব্যস্ত দোকানিরা। পুলিশ ও এফবিআই এর পাশাপাশি সেনাবাহিনীর নজরদারির আওতায় রয়েছে সড়কটি।

এএইচ