উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্বের সেরা তিনটি দেশের একটি কানাডা। তাই স্বপ্ন পূরণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতি বছরই ভিড় করেন লাখো শিক্ষার্থী। তবে বছরের শুরুতেই নিজ দেশের আবাসন ও স্বাস্থ্য খাতের সংকট মোকাবিলায় ২০২৫ ও ২৬ সালে কম সংখ্যক বিদেশি শিক্ষার্থী নেয়ার ঘোষণা দেয় কানাডা সরকার। বছর না ঘুরতেই এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দেশটির অর্থনীতিতে।
পরিসংখ্যান তথ্য বলছে, কানাডার বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে সবচেয়ে বেশি বিদেশি শিক্ষার্থীরা আসেন সেপ্টেম্বরের সেশনে। কিন্তু বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার বিদেশি শিক্ষার্থীর ভাটা পড়েছে অন্তত ৩৫ শতাংশ। এমন পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক মন্দার কবলে পড়েছে বিদ্যাপীঠগুলো। এতে কয়েক বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কায় গোটা শিক্ষাখাত।
এ অবস্থায় ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাওয়া অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রাদেশিক ও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রণোদনার দাবি করছে। বিদেশি শিক্ষার্থীর অভাবে আরও নানামুখী সমস্যা তৈরির শঙ্কায় দেশটিতে অধ্যায়নরত বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
এ দেশে শিক্ষার্থীরা বৈধভাবে কাজ করতে পারেন। অনেক প্রতিষ্ঠান তাই শিক্ষার্থী নির্ভর। বাসাও নানা স্থানে খালি, যা আগে ছাত্রাবাস বা ছাত্রীনিবাস ছিল।
এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় বর্তমানে কর্মী সংখ্যা বেশি, এমন দাবি করে সরকার অস্থায়ী বাসিন্দা হ্রাস করছে। এতে অবশ্যই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা ক্ষতির মুখে পড়বে।’
গেল বছর প্রায় ৯ লাখ বিদেশি শিক্ষার্থীকে ভিসা দেয় উত্তর আমেরিকার এই দেশটি। শিক্ষার্থী আসায় অর্থনীতি চাঙা হলেও, টানাপড়েন শুরু হয় আবাসন খাতে। তাই স্নাতক ও ডিপ্লোমায় ৩৫ শতাংশ ভিসা কমানো, ওয়ার্ক পারমিট না দেয়াসহ আরও বেশকিছু বিধান যুক্ত করা হয়। এমনকি বিদেশি শিক্ষার্থীদের আবেদনের খরচও বাড়ায় জাস্টিন ট্রুডো প্রশাসন। বাতিল করা হয় ভারতসহ ১৪ দেশের বিশেষ প্রবেশাধিকার।