আর মাত্র দেড় সপ্তাহ বাদেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। কিন্তু এরইমধ্যে অনেকটাই নির্ধারণ হয়ে গেছে দুই প্রার্থীর ভাগ্য। কারণ ডাক যোগে ও স্বশরীরে আগাম ভোট দিয়েছেন ৩ কোটির বেশি মার্কিন ভোটার। ইউনিভার্সিটি অফ ফ্লোরিডার ইলেকশন ল্যাবের তথ্য বলছে, সর্বোচ্চ ১ কোটি ৭০ লাখ নাগরিক ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছেন ডাক। ফাইভ থার্টি এইটের সবশেষ জরিপও বলছে, নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনা ৫১ শতাংশ।
এমন পরিস্থিতিতে ফুরফুরে মেজাজে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নেভাডায় এক নির্বাচনী সভায় রিপাবলিকান প্রার্থী প্রতিশ্রুতি দেন, ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে জয় পেলে অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়িতের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে স্বাধীন করবেন তিনি।
রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে একটি দখলকৃত রাষ্ট্র। তবে শিগগিরই এ অবস্থা থেকে মুক্তি মিলবে। ৫ অক্টোবর আমরা দেশকে স্বাধীন করবো। অবৈধ অভিবাসীদের দেশ থেকে তাড়াবো।'
এর আগে অ্যারিজোনার অপর এক জনসভায় রিপাবলিকান প্রার্থী অভিযোগ করেন, মার্কিনদের জন্য লজ্জা বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসন। নির্বাচিত হলে স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষায় কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ নিশ্চিত করবেন তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও বলেন, 'আপনারা যদি মেডিকেয়ার ও সোশ্যাল সিকিউরিটিকে বাঁচাতে চান, সেক্ষেত্রে ডোনাল্ড জে ট্রাম্প নামের ভদ্রলোককে ভোট দিন। তার নাম কী কখনো শুনেছেন?'
অন্যদিকে জনসমর্থন বাড়াতে প্রথমবারের মতো বারাক ওবামার সঙ্গে প্রচারণা চালিয়েছেন কামালা হ্যারিস। ব্যাটেলগ্রাউন্ড স্টেট জর্জিয়ায় ওবামা অভিযোগ করেন, জয় পেলে অত্যাচারী শাসকে পরিণত হবেন ট্রাম্প। অন্যদিকে মধ্যবিত্ত ভোটারদের আকৃষ্ট করতে নানা পরিকল্পনা তুলে ধরেন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী।
ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কামালা হ্যারিস বলেন, 'নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ১২ দিন। ইতোমধ্যেই আগাম ভোটগ্রহণ চলছে। সবাই জানেন এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে যাচ্ছে। তাই আমাদের আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।'
জর্জিয়ার এই নির্বাচনী সভায় কামালার প্রতি সমর্থন জানান চলচ্চিত্র পরিচালক স্পাইক লি ও সঙ্গীত শিল্পী ব্রুস স্প্রিংসটিন। স্থানীয় সময় শুক্রবার ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর জন্য প্রচার চালাবেন সঙ্গীতশিল্পী বিয়োন্সে।