বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে বাড়ি। জীবন শঙ্কার মুখে থাকা এমন অসংখ্য মানুষ ও প্রাণীকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে ব্যস্ত উদ্ধারকারীরা।
শতাব্দীর অন্যতম শক্তিশালী হারিকেন মিল্টনে প্লাবিত ফ্লোরিডার বেশ কিছু এলাকা। আলাফিয়া নদীতে পানি বেড়েছে ১৫ ফুট। হিল্সবার্গ নদীর পানি ইতিহাসের সর্বোচ্চ স্তরে। অ্যান ক্লট ও সেন্ট জন্স নদীও শঙ্কা জাগাচ্ছে। এরমধ্যে মেডার্ড জলাধার থেকে আলাফিয়া নদীতে পানি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়া ঠেকাতে নেয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা।
এদিকে মিল্টন আঘাতের দুই দিন পর ফুটে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারে স্থানীয়দের পাশাপাশি কাজ করছে কর্তৃপক্ষ। পরপর দুটি হারিকেনের ক্ষতি কীভাবে কাটিয়ে উঠবে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ক্ষতিগ্রস্তরা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে একজন জানান, এই দুঃসময়ে আমরা সৃষ্টিকর্তার সহায়তা ও নির্দেশনা চাইছি। চারপাশে তাকালেই বুঝবেন কেমন ক্ষতি হয়েছে। সামনে কী হবে জানি না।
আরও একজন জানান, ট্রাকগুলো যাতে এখানে আসতে পারে, সেজন্য পরিষ্কার করছি। আশা করছি সবাই আমাদের কাজে যোগ দিবে।
মিল্টনের আঘাতে ফ্লোরিডার আর্থিক ক্ষতি ৫ হাজার কোটি ডলার ছাড়ানোর শঙ্কা জো বাইডেনের। মার্কিন প্রেসিডেন্টের অঙ্গীকার, বিপুল এই অর্থ বরাদ্দে সাহায্য করবে কংগ্রেস। এদিকে প্রাণহানি ঠেকাতে ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন রাজ্যের গভর্নর ।
ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডি স্যান্টিস বলেন, ‘প্রকৃতির কারণে এতো প্রাণহানি হয়েছে। কিন্তু এখন যে পরিস্থিতিতে আছি, সামনে প্রাণহানি ঠেকানো সম্ভব। বিদ্যুতের তারগুলো অনেক স্থানে বন্যার পানিতে পড়েছে। এটা খুবই বিপজ্জনক। তাই ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘আমাদের অনেক সহায়তা প্রয়োজন, বিপুল অর্থ প্রয়োজন। আমরা কংগ্রেসে যাবো। ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা করে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ বের করবো। সবাইকে বলতে চাই, শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমরা চলে যাবো না ।’
হারিকেনের তাণ্ডবে এখনো বিদ্যুৎহীন ফ্লোরিডার ১৯ লাখ বাসিন্দা। অঙ্গরাজ্যের ৩০ শতাংশ গ্যাস স্টেশনে শেষ হয়ে গেছে জ্বালানি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।