নির্বাচনের আগে জনমত জরিপে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যবধান বাড়িয়েই যাচ্ছেন কামালা হ্যারিস। রয়টার্স-ইপসোসের সবশেষ জরিপ বলছে, ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর প্রতি সমর্থন রয়েছে ৪৭ শতাংশ মার্কিনের। অন্যদিকে রিপাবলিকান প্রার্থীর প্রতি সমর্থন মাত্র ৪০ শতাংশ।
তবে সুইং স্টেটসগুলোয় কামালার ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন ট্রাম্প। এরইমধ্যেই অ্যারিজোনা, জর্জিয়া ও নর্থ ক্যারোলাইনায় এগিয়ে আছেন রিপাবলিকান প্রার্থী। অর্থনীতি, বেকারত্ব সমস্যা সমাধানে ট্রাম্পের ওপর ভরসা ৪৩ শতাংশ মার্কিনের। কামালার প্রতি সমর্থন ৪১ শতাংশ।
অর্থনীতিতে নিজের অবস্থান পরিষ্কারে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট। ব্যাটেলগ্রাউন্ড পেনসিলভেনিয়ায় এক নির্বাচনী সভায় কামালা জানান, নির্বাচিত হলে মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তোলা তার লক্ষ্য। দেশিয় উৎপাদনকারীদের জন্য দেয়া হবে কর ছাড়। অন্যদিকে বিনিয়োগ করা হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও কোয়ান্টাম কম্পিউটিংসহ নতুন প্রযুক্তিগুলোয়।
কামালা হ্যারিস বলেন, 'আগামী শতককে সংজ্ঞায়িত করবে এমন খাতগুলোয় মার্কিনদের বৈশ্বিক নেতৃত্বদানকারীর স্থানে পুনরায় স্থাপন করবো। আমরা বায়ো ম্যানুফ্যাকচারিং, এরোস্পেস, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং ও ব্লকচেইনের মতো উদীয়মান প্রযুক্তিগুলোয় বিনিয়োগ করবো। ক্লিন এনার্জি, উদ্ভাবন ও উৎপাদনে আমাদের নেতৃত্ব প্রসারিত করা হবে।'
অপরদিকে, জনসমর্থন বাড়াতে কোনো চেষ্টাই বাদ রাখছেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প। তথ্য প্রমাণ ছাড়াই করছেন বিভিন্ন মন্তব্য। দু'বার হত্যাচেষ্টার পেছনে ইরানের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ট্রাম্প। নর্থ ক্যারোলাইনায় ট্রাম্প জানান, বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ বন্ধে অবদানের জন্য পাঁচটি নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য দাবিদার তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, 'আমার বক্তৃতা আপনাদের যুদ্ধ থেকে দূরে রেখেছে। আমি যুদ্ধ বন্ধ করেছি। এমন কাজ অন্য কেউ করলে পাঁচটি নোবেল পুরস্কার পেতো। তবে আমাকে মনোনীতও করা হয়নি। কারণ আমি ভিন্নধর্মী মানুষ। ওবামা যা করেনি তার জন্য নোবেল পেয়েছে। তিনি বলেছিলেন, কেনো এই পুরস্কার পেলাম তা জানি না।'
এদিকে সিবিসি নিউজের আমন্ত্রণে আগামী সপ্তাহে ভাইস প্রেসিডেনশিয়াল ডিবেটে অংশ নিতে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছেন দু'দলের দুই রানিংমেট টিম ওয়ালজ ও জেডি ভ্যান্স।