ডেমোক্র্যাট থেকে আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন পাওয়াই এখন কামালা হ্যারিসের একমাত্র লক্ষ্য। ইতিমধ্যে দলের পক্ষ থেকে সবুজ সংকেতও পেয়েছেন তিনি। নভেম্বরে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে লড়াই করতে প্রস্তুত ৫৯ বছর বয়সী কামালা হ্যারিস। এর মধ্য দিয়ে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়বেন তিনি।
তবে ভোটের লড়াইয়ে কামালাকে মোকাবিলা করতে হবে বৈশ্বিক যুদ্ধ, বৈদেশিক নীতি ও কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ। চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন দেশের মূল্যস্ফীতি ও অর্থনীতি নিয়ে। বিশ্লেষকরা বলছেন, বাইডেনের দেখানো পথেই হাঁটবেন কামালা।
তার জন্য প্রথম চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে গাজা-ইসরাইল যুদ্ধ ইস্যু। বক্তব্যে বেশ কয়েকবার ইসরাইলের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন কামালা। পাশাপাশি বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতিও প্রকাশ করেন তিনি। সন্ত্রাস দমনে ইসরাইলের পাশে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় জানিয়েছে তার দল।
কামালা হ্যারিস বলেন, 'গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারসহ পূর্ণ যুদ্ধবিরতির চুক্তি কার্যকর করতে হবে। যুদ্ধ শেষ হওয়ার এখনই সময়। সমাধান এমনভাবে হবে যেখানে ইসরাইল নিরাপদ থাকবে, জিম্মিদের মুক্তি এবং ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগের অবসান হবে।'
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নীতির ওপরই আস্থা রাখবেন কামালা হ্যারিস। রুশ বাহিনীর আগ্রাসন থেকে ইউক্রেনকে রক্ষায় পাশে থাকার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। কিয়েভে অনুষ্ঠিত এক শীর্ষ সম্মেলনে ইউক্রেনকে দেড় বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তার ঘোষণাটিও আসে কামালার পক্ষ থেকে।
ধারণা করা হচ্ছে, এশিয়া অঞ্চলে চীনা প্রভাব ঠেকাতে বাইডেনের নেয়া নীতিগুলো বজায় রাখবেন কামালা হ্যারিস। আসিয়ানের শীর্ষ সম্মেলনে আঞ্চলিক অস্থিরতার জন্য চীনকে অভিযুক্ত করেন তিনি। এর আগে ট্রাম্পের চীনা শুল্ক নীতিরও কড়া সমালোচনা করেছিলেন। তাইওয়ানকে চীনের প্রভাবমুক্ত রাখাও কামালার অন্যতম লক্ষ্য।