অস্ট্রেলিয়ায় সামরিক সক্ষমতা বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

0

সম্ভাব্য তাইওয়ান যুদ্ধকে কেন্দ্র করে অস্ট্রেলিয়ায় সামরিক সক্ষমতা বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে শত শত সামরিক যান এনে রেখেছে ওয়াশিংটন।

মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স জানায়, গেলো বছর দুই দেশের যৌথ সামরিক মহড়া তালিসমান সাবরের মধ্য দিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় লুকিয়ে রাখা হয়েছে।

গেলো বছরের জুলাই আর আগস্ট মাসে অস্ট্রেলিয়ায় আয়োজিত হয় ওয়াশিংটন আর ক্যানবেরার সামরিক মহড়া। এতে অংশ নেন ১৩টি দেশের ৩৪ হাজারের বেশি সেনা। উদ্দেশ্য ছিল এই অঞ্চলে সামরিক নিরাপত্তা জোরদার করা। সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স বলছে, এই মহড়ায় ব্যবহৃত ৩৩০টি সামরিক যান আর ১৩০টি কন্টেইনার অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে মজুত করে রাখা হয়েছে।

প্রতিবেদন বলছে, যদি চীন তাইওয়ানে সেনা অভিযান চালায় তাহলে বিভিন্ন কোম্পানি এই সামরিক যান আর ৫০০ সেনা নিয়ে মাঠে নেমে পড়তে পারবে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে যেকোন সামরিক মহড়ায় কাজে লাগবে এই সামরিক সরঞ্জাম।

তবে অনেক কর্মকর্তাই বলেছেন, এই সামরিক সরঞ্জামগুলো যুক্তরাষ্ট্রের দুর্বলতা, চীন চাইলেই এগুলো ধ্বংস করে দিতে পারে। জাহাজ আর বিমানে বোমা হামলা করলেই এগুলো ধ্বংস হয়ে যাবে। এরমধ্য দিয়ে ওয়াশিংটনকে আঘাত করতে পারবে বেইজিং, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে না জড়িয়েই।

চীনের দূতাবাস এই বিষয়ে কোন মন্তব্য না করলেও রয়টার্স বলছে, ওয়াশিংটনকে কোনভাবেই তাইওয়ানের আশপাশে সামরিক উপস্থিতি বাড়ানো উচিত নয়। এমন কিছুই করা উচিত নয়, যেজন্য তাইওয়ান প্রণালীতে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। তাইওয়ান ইস্যুতে গেলো কয়েকমাস ধরেই উত্তপ্ত ওয়াশিংটন বেইজিং সম্পর্ক। স্বায়ত্বশাসিত দ্বীপে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র সরবরাহ আরও উস্কে দিয়েছে পুরো পরিস্থিতি।

চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এই ভূখন্ডকে অনেক আগে থেকেই নিজেদের বলে দাবি করে আসছেন। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তাইওয়ানের ওপর কোন হামলা হলে প্রতিরোধ করবে ওয়াশিংটন। তবে তাইওয়ানের স্বাধীনতা চায় না যুক্তরাষ্ট্র, এমন মন্তব্যও করেন তিনি।

এসএস