কয়েক মাসের মধ্যেই সরকারি এ সুযোগ কাজে লাগান কানাডায় থাকা পর্যটক ভিসাধারী এবং বৈধ কাজের সুযোগ ছিল এমন বিদেশিরা। সেসময় কাজের অনুমোদনের আবেদন করে বহু মানুষ সাফল্য পেলেও এখন পরিস্থিতি একদমই ভিন্ন।
চাকরির বাজার মন্দা হওয়ায় ভ্রমণ ভিসায় আসা ব্যক্তিদের অধিকাংশই কাজ পাচ্ছেন না, হতাশাও বাড়ছে। কেউ কেউ আবার ঘণ্টা হিসেবে নগদ অর্থের বিনিময়ে কাজ করছে। যা একদমই সামান্য। বিশেষ করে টরন্টোর পথেঘাটে এমন বাংলাদেশিদের দেখা মিলছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন কাজের প্রয়োজনে কানাডায় ভিজিটর ভিসায় এসে ভুল করা উচিত নয়। এই বিষয়টি নিয়ে এখন সচেতন হওয়ার সময়।
গবেষক ড. আমিরুল ইসলাম বলেন, 'যারা বাইরে থেকে আসছেন তারা যদি ভাবেন বিষয়টা খুব সহজ, তাহলে তা ঠিক নয়। যদি কেউ অসামান্য দক্ষতার হয়ে থাকেন তাহলে সেটা স্থানান্তরযোগ্য, মালিকরা আগ্রহ দেখাবে। এর বাইরে যারা আসছে তারা খুব ভোগান্তিতে আছে।'
বাংলাদেশ কমিউনিটি বা হাইকমিশন এ নিয়ে সচেতনতা তৈরি করতে পারে বলেও মনে করেন তিনি। বলেন, 'অনেকেই ভিজিট ভিসায় আসলে স্থায়ীভাবে থেকে যেতে চায়। সেক্ষেত্রে তাদরকে ছোটখাটো একটা ডিপ্লোমা ডিগ্রির ব্যবস্থা করে দেয়া যেতে পারে। যাতে তারা সমভাবে জব মার্কেটে থাকতে পারে।'
মূলত কোভিড পরবর্তী অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞ বৃদ্ধির কারণে কানাডায় অনেক চাকরিদাতা পর্যাপ্ত ও অভিজ্ঞ কর্মী খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তাই পর্যটক ভিসাধারীদের বিবেচনায় রাখার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়।
কিন্তু অর্থনৈতিক মন্দায় সেটি এখন আর কাজে আসছে না। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা পূর্ণকালীন কাজের সুযোগ পেয়েছেন।
এই নীতির আগে উত্তর আমেরিকার এ রাষ্ট্রে কাজ করতে আগ্রহীদের আসার আগেই কাজের অনুমোদনের আবেদন করতে হতো। তখন লেবার মার্কেট ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট বা এল.এম.আই.এ অনুমোদন হতো। কানাডায় কাজের উদ্দেশ্যে আসতে চাইলে সেটিই একমাত্র গ্রহণযোগ্য ও নিরাপদ উপায় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।