নৌপথে ইসরাইলি অবরোধ ভাঙতে গাজা অভিমুখে যাত্রা করছে একের পর এক নৌবহর। ইসরাইলি বাহিনী জাহাজ জব্দ ও যাত্রীদের গ্রেপ্তার করেও কাউকে দমাতে পারছে না। গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার পর নতুন নৌবহর নিয়ে যাত্রা করে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন। যে বহরে আছে বাংলাদেশি আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে বহনকারী জাহাজও।
গেল ৩০ সেপ্টেম্বর ইতালি থেকে রওনা হয় কনসায়েন্স জাহাজটি। শহিদুল আলমসহ যেখানে শতাধিক যাত্রী রয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই চিকিৎসক ও সাংবাদিক। তারা গাজাবাসীর জন্য মানবিক সহায়তা নিয়ে যাচ্ছিলেন।
তবে বুধবার ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের নৌবহরটিতে হুট করেই হামলা চালিয়ে যাত্রীদের হেফাজতে নেয় ইসরাইলি বাহিনী। জব্দ করা হয় কনসায়েন্স ও গাজা সানবার্ড নামে দুটি জাহাজ। এ সময় ইসরাইলি সেনারা জাহাজের সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে ফেলে। এক্স বার্তায় ইসরাইলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, যাত্রীরা সবাই নিরাপদে আছে। তাদের সবাইকে ইসরাইলের একটি বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখান থেকে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন:
এদিকে বাংলাদেশের আলোকচিত্রী শহিদুল আলম ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় দাবি করেন, ইসরাইলি বাহিনী তাকে অপহরণ করেছে। ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতায় লড়াই চালিয়ে যেতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
শহিদুল আলম বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের একজন আলোকচিত্রী ও লেখক শহিদুল আলম। আমাদের সমুদ্র থেকে আটক করা হয়েছে। ইসরায়েলের দখলদার বাহিনী আমাদের অপহরণ করেছে। ইসরাইলিরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা শক্তির সক্রিয় সহযোগিতায় গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে। সকল কমরেড এবং বন্ধুদের কাছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
চলতি সপ্তাহেই সুমুদ ফ্লোটিলার ৪০টির বেশি জাহাজসহ প্রায় পাঁচ শ’ মানবাধিকার কর্মীকে আটক করে ইসরাইলি বাহিনী। যেখানে ছিলেন সুইডিশ পরিবেশ কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। আটকের পর ইসরাইলি কারাগারে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। এবার নিজেই সেই নির্যাতনের বর্ণনা দিলেন গ্রেটা থুনবার্গ।
সুমুদ ফ্লোটিলা থেকে আটকদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩৪১ জনকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে ইসরাইল। এদের মধ্যে আটক ২৩ জন মালয়েশিয়ান নাগরিক মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুয়ালালামপুরে পৌঁছেছেন।





