সাইরেনের শব্দে টানা দুই রাত ঘুমহীন ইসরাইল। কারণ দখলদারদের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। ৪৮ ঘণ্টায় তৃতীয়বারের মতো চালানো ব্যালিস্টিক মিসাইলের লক্ষ্য ছিল বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর। যাত্রীদের প্রাণে বাঁচাতে এয়ারলাইন্সগুলোকে বিমানবন্দর এড়িয়ে চলতে সতর্ক করেছে ইয়েমেনের গোষ্ঠীটি।
হুতি মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারেয়া বলেন, ‘ফিলিস্তিন-২ হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক মিসাইলের মাধ্যমে বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। অভিযানের উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। একইসঙ্গে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী হ্যারি ট্রুম্যানে ড্রোনের মাধ্যমে হামলা চালানো হয়েছে।’
যদিও প্রতিরোধ যুদ্ধকে তোয়াক্কা না করে গাজায় আগ্রাসন অব্যাহত রেখেছে নেতানিয়াহুর সেনারা। যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যাবার পর গেলো চার দিনে উপত্যকায় প্রাণ হারিয়েছেন ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনি। শুক্রবার হামাসের সামরিক গোয়েন্দা প্রধানকে হত্যার দাবি করেছে আইডিএফ। এছাড়াও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দাবি, হামাস জিম্মিদের মুক্তি না দিলে উপত্যকা পূর্ণরূপে দখল করবে ইসরাইল। পরিস্থিতিকে সংকটপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ।
ইউএনআরডব্লিউএর সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর স্যাম রোজ বলেন, ‘মার্চের শুরু থেকে উপত্যকায় কোনো ধরনের ত্রাণ সরবরাহ হয়নি। ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর পর এটিই সবচেয়ে বড়। আমাদের কাছে মাত্র ৬ দিনের ময়দা রয়েছে। জনগণকে অল্প করে দিয়েছে হয়তো আরো কয়েকদিন টানতে পারবো।’
গাজাবাসীর সঙ্গে সংহতি জানিয়ে শুক্রবার বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে বিক্ষোভ হয়েছে। জর্ডানের রাজধানী আম্মানে জুমার পর বিক্ষোভে যোগ দেন হাজারো মানুষ। অন্যদিকে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় মার্কিন দূতাবাস ঘিরে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন মুসলিমরা। রাস্তায় সেটে দেয়া হয় নেতানিয়াহুর ছবি।
এদিকে গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের প্রধানের অপসারণে সাময়িকভাবে আটকে দিয়েছে ইসরাইলের সুপ্রিমকোর্ট। অপসারণের বিরোধিতা করায় অ্যাটর্নি জেনারেলের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার ঘোষণা দিয়েছে নেতানিয়াহু সরকার। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে সাধারণ জনগণ।