গাজার যুদ্ধবিরতি চুক্তি আবারও আলোচনায়, আগ্রাসন বাড়িয়েছে ইসরাইল

গাজার যুদ্ধবিরতি চুক্তি আবারও আলোচনায়, আগ্রাসন বাড়িয়েছে ইসরাইল | এখন টিভি
0

গাজার ঝুলে থাকা যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আবারও নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে কাতারে। যদিও প্রথম দফার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হতেই থেমে উপত্যকা আর অবরুদ্ধ পশ্চিমতীরে আগ্রাসন বাড়িয়েছে ইসরাইল। ‌এরমধ্যেই, মধ্যপ্রাচ্যের জলসীমায় ইসরাইলি জাহাজে আবারও হামলার হুমকি দিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা।

দফায় দফায় আলোচনার পরও দ্বিতীয় দফার যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি ইসরাইল, হামাস কিংবা মধ্যস্থতাকারীরা। এই পরিস্থিতির জন্য একে অপরকে দুষছে তেল আবিব ও হামাস। এই সুযোগে গাজা উপত্যকায় একটু একটু করে আগ্রাসন বাড়াচ্ছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। শনিবারও শিশুসহ আটজনকে হত্যা করেছে আইডিএফ।

গাজা শহর, খান ইউনিস, দেইর আল বালাহ, পশ্চিমতীরের জেনিন, নাবলুসসহ অনেক এলাকায় হামলা অব্যাহত রেখেছে আইডিএফ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলছে, রাফা সীমান্ত দিয়ে এরই মধ্যে শরণার্থী শিবিরের সাড়ে ৩ হাজার বাসিন্দা নতুন করে গাজা ছেড়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, যুদ্ধ বন্ধ হলেও ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ থাকায়, না খেয়ে মরবে গাজার শিশুরা। এরমধ্যে ত্রাণ সরবরাহ বন্ধের পাশাপাশি উপত্যকাটিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ায় চরম মানবিক সংকটের মুখে গাজাবাসী।

গাজার একজন অধিবাসী বলেন, ‘বিদ্যুৎ আর পানি সরবরাহ লাইন কেটে দেয়া মানে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে সরিয়ে দেয়া ট্রাম্পের পরিকল্পনার অংশ। যা ইচ্ছা তাই করুক, আমরা এখান থেকে সরছি না।’

আরেকজন বলেন, ‘খুব কষ্ট হচ্ছে, লাইট নেই, আলোর কোন উৎস নেই। মোমবাতি জ্বালাতে হচ্ছে। কিন্তু এতে আগুন ধরে যেতে পারে। সোলার প্যানেলও নেই। দেড় বছর ধরে কষ্ট করছি।’

এমন পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস বলছে, কাতারের রাজধানী দোহায় শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দফায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির আলোচনা। এতে অংশ নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত, স্টিভ উইটকফ। যদিও এই আলোচনার কোনো ভবিষ্যৎ দেখছে না হুথি বিদ্রোহীরা। তারা ঘোষণা দিয়েছে, যুদ্ধবিরতি অবিলম্বে কার্যকর না হলে আবারও লোহিত সাগর, বাব আল মানদেব প্রণালি, আরব সাগর ও গাল্ফ অব এডেনে ইসরাইলি জাহাজের ওপর হামলা হবে।

হুথি সামরিক শাখার মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারেয়া বলেন, ‘ইয়েমেনের সেনাবাহিনী প্রথমত ইসরাইলি জাহাজের জন্য এই জলসীমা বন্ধ করছে। ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ জলসীমা দিয়ে জাহাজ আসলে টার্গেট করা হবে। উপত্যকায় ত্রাণ সরবরাহ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা থাকবে।’

এমন অবস্থায় গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত না আসলেও ইরানকে বারবার উসকে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। চটে গিয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কোন হুমকি ধামকির তোয়াক্কা করে না তেহরান। ওয়াশিংটন যাই করুক না কেন, তেহরানের তাতে কিছু আসে যায় না বলেও মন্তব্য করেন ইরানি প্রেসিডেন্ট।


এসএস