তিনটি আলুর দাম ১৫০ শেকেল বা ৪০ মার্কিন ডলার। যা ১১ মাস আগেও মিলতো এক ডলারেরও অনেক কমে। এমনকি পাঁচ শেকেল মূল্যের তিনটি কাঁচামরিচ এবং দু'টি রসুন কিনতে এখন গুণতে হচ্ছে ৫০ শেকেল বা ১৩ মার্কিন ডলারের উপরে। ছয় থেকে সাত শেকেলের এক লিটার ভোজ্য তেল এবং ২৫ শেকেলের এক লিটার অলিভ অয়েলের দাম বেড়ে যথাক্রমে ৫০ ও ৫৫ শেকেল বা ১৩ ডলারের বেশি হয়েছে।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ঠিক এমন অবিশ্বাস্য হারেই বাড়ছে খাদ্যপণ্যের দাম। এতে ইসরাইলি বাহিনীর আগ্রাসনে ধ্বংসের নগরীটিতে রূপ নেয়া ফিলিস্তিনের এ ভূখণ্ডে এখন অপুষ্টির হানা।
স্থানীয় একজন বলেন, 'এখানে দ্রব্যমূল্য অবিশ্বাস্য হারে বেড়েছে। সবকিছুই খুব দামি। এমনকি একটি ডিম কিনতে ১২ শেকেল গুণতে হচ্ছে। যা যুদ্ধের আগে ছিল মাত্র দুই শেকেল।'
এ অবস্থায় একদিকে যেমন ইসরাইলি বর্বরতায় প্রতিদিন প্রাণ যাচ্ছে, ঠিক তেমনি খাবারের অভাব মৃত্যুর কোলে ঠেলে দিচ্ছে অসংখ্য গাজাবাসীকে। অর্থ দিয়েও মিলছে না অনেক মৌলিক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। গজার সর্বত্রই হাহাকার।
স্থানীয় অন্য একজন বলেন, 'দাম বেশি তবুও অনেক মৌলিক প্রয়োজনীয় পণ্য-দ্রব্য পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি আয় না থাকায় অনেকেরই কেনার সামর্থ্য নেই। এ অবস্থায় সাধারণ জনগণের প্রতি অন্তত করুণা করা উচিত।'
গাজায় অবস্থান করা একজন নারী বলেন, 'আমাদের অনেকের ঘরে গর্ভবতী মায়েরা কষ্ট করছেন। না খেলে কীভাবে তাদের সন্তানরা বেড়ে উঠবে? কীভাবেইবা তারা সন্তান জন্ম দেবেন? যুদ্ধের মধ্যে মানুষের না খেয়ে মরার উপক্রম।'
জাতিসংঘের সবশেষ তথ্য বলছে, ইসরাইলি অবরোধে গেলো অক্টোবরের পর গাজায় সবচেয়ে কম খাদ্য সহায়তা এসেছে জুলাই মাসে। এতে খাবারের মতোই ওষুধ সংকটও চরমে। এমন নাজুক পরিস্থিতির মধ্যেই একাধিকবার আশ্রয়ের জায়গা পরিবর্তন করতে হয়েছে ২০ লাখের বেশি ঘরহারা গাজাবাসীর।