মধ্যপ্রাচ্য
বিদেশে এখন
0

ইসরাইলকে আক্রমণ করা আইসিসির উদ্দেশ্য: নেতানিয়াহু

গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করে গোটা ইসরাইল রাষ্ট্রকে আক্রমণ করতে চেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। এমন মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন উল্লেখ করে এর সদস্যদের সাথে ইসরাইলি সেনাদের তুলনা করায় আইসিসি'র তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।

গতবছর ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ফিলিস্তিনের গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরাইল। হামাসের অপতৎপরতা বন্ধের দোহাই দিয়ে বেসামরিক মানুষের ওপর চালানো হয় বর্বর হামলা। ইসরাইলি আগ্রাসনে উপত্যকাটিতে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (২০ মে) যুদ্ধাপরাধের দায়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং হামাসের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান প্রসিকিউটর কারিম খান। এর মধ্য দিয়ে আইসিসি সহ্যের সীমা অতিক্রম করেছে বলে ক্ষোভ জানিয়েছেন নেতানিয়াহু।

নেতানিয়াহু বলেন, 'আইসিসি'র দাবি অযৌক্তিক। এটি এক ধরনের প্রতারণা। হেগ শুধু ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বা প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে আক্রমণ করছে না, তারা আমাদের নির্ভীক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। খুনি হামাসের সাথে আপনি কীভাবে আইডিএফের তুলনা করতে পারেন? এই দুঃসাহস আপনারা কোথায় পেলেন?'

ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ বলেন, 'ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। পক্ষপাতদুষ্ট এই সিদ্ধান্ত প্রমাণ করে তারা সন্ত্রাসী সংগঠনকে রাজনৈতিকভাবে সমর্থন করছে। যারা গণহত্যা, অপহরণ বা ধর্ষণের মতো অপরাধের সাথে জড়িত তাদের সাথে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের তুলনা করা হচ্ছে।'

এদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের দাবি পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করে ইসরাইলের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, 'ইসরাইল গাজায় যে অভিযান চালাচ্ছে তা কোনোভাবেই গণহত্যা নয়।'

তিনি আরও বলেন, 'ইসরাইলের নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন প্রত্যাখান করছি। পরোয়ানায় যাই থাকুক না কেন হামাস আর ইসরাইলের কার্যকলাপের মধ্যে কোন মিল নেই। এটি পরিষ্কার, ইসরাইল যা করছে তা বেসামরিক নাগরিকের নিরাপত্তার জন্যই করছে। আইসিসি'র অভিযোগ ভিত্তিহীন।'

অন্যদিকে গেল দুইসপ্তাহে উত্তর ও দক্ষিণ গাজায় স্থলাভিযান জোরদার করেছে ইসরাইল। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সংস্থার প্রতিবেদন বলছে, গাজার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ অর্থাৎ ৯ লাখ ফিলিস্তিনি নতুন করে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।