যুদ্ধ , মধ্যপ্রাচ্য
বিদেশে এখন
0

ইসরাইলগামী সব জাহাজের ওপর হামলা চালাবে হুতি!

রাফায় স্থল অভিযানে আরও সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল। উপত্যকায় মানবিক সংকট ঠেকাতে গাজা উপকূলে অস্থায়ী বন্দরের কাজ শেষ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গাজায় সংঘাত নিরসনে জাতিসংঘকে শান্তিরক্ষী পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে আরব লীগ। এদিকে ইসরাইলগামী সব জাহাজের ওপর হামলা চালানোর কথা জানিয়েছে হুতি।

গাজার উত্তর থেকে দক্ষিণে রাতভর হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। হামলা থেকে বাদ যায়নি বেসামরিক স্থাপনা এমনকি শরণার্থী শিবিরও। জাতিসংঘের তথ্য বলছে, ইসরাইলের আগ্রাসনের মুখে রাফা থেকে পালিয়েছে ৬ লাখের বেশি মানুষ। পানি ও খাবার সরবরাহ বন্ধ করায় মানবিক বিপর্যয়ের মুখে উত্তর গাজার বাসিন্দারা।

এমন পরিস্থিতিতে হামাসকে পরাস্ত করার দ্বারপ্রান্তে ইসরাইল, এমনটাই দাবি দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টর। রাফার দক্ষিণে চলমান স্থল অভিযানে আরও সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

ইয়োভ গ্যালান্ট বলেন, 'আমাদের স্থল অভিযান চলবে। অভিযানে আরও সেনা পাঠানো হবে। এই এলাকায় অনেকগুলো সুরঙ্গ ধ্বংস করা হয়েছে। হামাসের সরবরাহ লাইন বন্ধ। তাদের কাছে সংরক্ষিত যোদ্ধা নেই। ফলস্বরূপ হামাসকে নিমূর্লের দ্বারপ্রান্তে আমরা।'

এদিকে মানবিক বিপর্যয় মুখে গাজার উপকূলে অস্থায়ী বন্দর তৈরির কাজ শেষ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সমুদ্রপথে খাবার ও জ্বালানি সরবরাহ শুরু হবে বলে নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউজ। তবে ত্রাণের জাহাজের বদলে নিরাপত্তা চায় গাজাবাসী। অন্যদিকে জাতিসংঘ বলছে, সমুদ্রের বদলে সড়কপথে ত্রাণ পাঠালে উপত্যকায় দুর্ভিক্ষ ঠেকানো সম্ভব।

হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র ক্যারিন জ্যাঁ পিয়েরে বলেন, 'অস্থায়ী বন্দরের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বন্দরের মাধ্যমে গাজায় ত্রাণ যাবে। বিশেষ করে খাবার ও জ্বালানি।'

গাজার স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, 'আমরা জাহাজ চাই না। জনগণের যাতায়াতের জন্য আমরা সীমান্তের ক্রসিং খোলা চাই। আমরা নিরাপত্তা চাই। এই মার্কিনদের কূটচালে ইসরাইলিরা রাতে আমাদের ওপর হামলা করে, আবার দিনে সাহায্য পাঠায়। এমন সহায়তা আমরা চাই না।'

বাহরাইনে চলমান ৩৩তম আরব সম্মেলনেও প্রাধান্য পেয়েছে গাজা ইস্যু। মিশরের প্রেসিডেন্টে আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসির অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধবিরতি চুক্তি এড়িয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। উপত্যকায় সংঘাত নিরসনে শান্তিরক্ষীদের পাঠানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে জাতিসংঘের কাছে।

আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি বলেন, 'ইসরাইল প্রতিবারই ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধবিরতি চুক্তি থেকে এড়িয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে রাফায় সামরিক অভিযান অব্যাহত রেখেছে। উপত্যকায় দখলদারিত্বের কৌশল হিসেবে রাফা ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে।'

এদিকে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজের ওপর হামলার সমালোচনা করা হয়েছে আরব লীগের পক্ষ থেকে। তবে ইসরাইলগামী সব ধরনের জাহাজের ওপর হামলা অব্যাহত রাখার ঘোষণা ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের।

হুতি নেতা আব্দুল মালিক আল হুতি বলেন, 'যে প্রতিষ্ঠানের জাহাজ ইসরাইলের জন্য পণ্য পরিবহন করবে, আমরা সে জাহাজেই হামলা চালাবো। আমাদের পূর্ণ সক্ষমতা দিয়ে দখলদারদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবো।'

এদিকে বিশ্বজুড়ে ফিলিস্তিনের সমর্থনে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ মে) যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করা হয়েছে শতাধিক আন্দোলনকারীকে।

এসএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর