সিরিয়ার ইরানি কনস্যুলেটে বিপ্লবী গার্ডসের ২ শীর্ষ জেনারেলসহ ১৩ জন নিহতের প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা চালাতে পারে ইরান। যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি গণমাধ্যমকে মার্কিন গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, হামলায় ব্যবহার করা হতে পারে শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র। ইসরাইলের সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ১০০ ক্রুজ মিসাইল তাক করা রয়েছে বলেও জানান তারা।
চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ইসরাইলে হামলা না চালাতে ইরানকে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইতোমধ্যেই লোহিত সাগরে অতিরিক্ত যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে বাইডেন প্রশাসন। গতকাল (শুক্রবার, ১২ এপ্রিল) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, তেল আবিবকে রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ওয়াশিংটন।
জো বাইডেন বলেন, 'ইসরাইলের প্রতিরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা ইসরাইলকে সমর্থন করবো, তাদের প্রতিরক্ষায় সহায়তা করবো। ইরান সফল হতে পারবে না।'
এদিকে ইরানের পক্ষ নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্য। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান ও কুয়েত যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়ে দিয়েছে, তাদের দেশে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটি থেকে তেহরানে হামলা চালানো যাবে না। মিডল ইস্ট মনিটরের তথ্য বলছে, ঘাঁটিগুলো থেকে যুক্তরাষ্ট্র যাতে হামলা চালাতে না পারে, সেজন্য যুদ্ধবিমান চলাচল বন্ধের পরিকল্পনা নিয়েছে উপসাগরীয় দেশগুলো।
রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, উত্তেজনা এড়াতে চায় ইরান। ইতোমধ্যে বার্তা পাঠানো হয়েছে ওয়াশিংটনে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, নিজেদের প্রতিপত্তি প্রমাণে ও ভাবমূর্তি রক্ষায় হামলা চালাবে ইরান। যদিও ছোট হতে পারে হামলার পরিধি।
এদিকে, ইরানের সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় অস্থির জ্বালানি তেলের বাজার। হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো শুক্রবার বিশ্ববাজারে ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম উঠে ৯২ ডলারে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও রাশিয়ার পর ইসরাইল ভ্রমণে সতর্কতা জারি করেছে ভারত ও ফ্রান্স। অন্যদিকে নাগরিকদের ইসরাইল ত্যাগের নির্দেশনা দিয়েছে জার্মানি।
এদিকে শুক্রবার ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে অর্ধশতাধিক রকেট ও ২টি ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। ইসরাইলের দাবি, আয়রন ডোমের মাধ্যমে রকেটগুলো ধ্বংস করা হয়েছে।