১১ দিন আগে সিরিয়ায় দূতাবাসে হামলার পর প্রতিশোধের নেশায় উন্মত্ত ইরান, অস্থির মধ্যপ্রাচ্য। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের তথ্যমতে, আগামী ২ দিনের মধ্যে ইহুদি রাষ্ট্রটিতে হামলা চালাতে পারে আয়াতুল্লাহ খোমেনি প্রশাসন।
শুরুতে ধারণা করা হয়েছিলো মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইল কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে চালানো হবে হামলা। তবে নিজ নাগরিকদের রক্ষায় তেহরানের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওয়াশিংটন। জানানো হয় তেল আবিবের হামলার বিষয়ে কোন তথ্য ছিল না পেন্টাগনের কাছে।
হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব জ্যাঁ পিয়েরে বলেন, 'আমরা ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানিয়েছি, এই হামলায় আমাদের সম্পৃক্ততা ছিল না। দামেস্কে ইরানের সঙ্গে এই বৈঠক হয়। যুক্তরাষ্ট্রের কোন স্থাপনা কিংবা নাগরিকের ওপর হামলা করে মধ্যপ্রাচ্য অস্থির না করতে তেহরানকে সতর্ক করা হয়েছে।'
ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের তথ্য বলছে, ইরানের পক্ষ থেকে হামলা চালানো হবে উত্তর কিংবা দক্ষিণ ইসরাইলে। যাতে ব্যবহার হতে পারে মধ্যম পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। লক্ষ্যবস্তুর তালিকায় রয়েছে হাইফা বিমানবন্দর ও ডিমোনা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ইরান ছাড়াও সিরিয়া বা ইরাকে অবস্থিত তেহরানের ঘাঁটি ব্যবহার করা হতে পারে।
ইতোমধ্যেই জেরুজালেম, তেল আবিব ও বিরশেবা থেকে বাইরে না যেতে মার্কিনিদের নির্দেশনা দিয়েছে দূতাবাস। তবে ইসরাইল সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী জানান, গাজায় আক্রমণের পাশাপাশি রক্ষণও জোরদার করেছে ইসরাইল।
দেশটির সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, 'আমাদের দেশে হামলা চালানোর অর্থ ইরান মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা চায়। তবে আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুত আছি। পাশাপাশি আমরা জানি, কখন কীভাবে জবাব দিতে হবে।'
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, 'যেকোন নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি। আক্রমণ ও রক্ষণ উভয়ক্ষেত্রেই প্রয়োজন মেটাতে সতর্ক আছে আইডিএফ। যারা আমাদের আঘাত করবে, আমরা তাদের আঘাত করবো।'
আইডিএফের হামলায় ৩ ছেলে এবং ৪ নাতি নিহত হওয়ার পরেও যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে চান হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া। শুক্রবার কাতারের দোহায় হানিয়া জানান, ফিলিস্তিনিদের স্বার্থকেই সবার ওপরে রাখে হামাস।
হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া বলেন, 'ফিলিস্তিনের স্বার্থেই আমরা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে আগ্রহী। তবে গাজায় গণহত্যা চালানোর জন্য ইসরাইল দেরি করছে। আমাদের শর্তগুলো এড়িয়ে যাচ্ছে।'
দিন দিন উত্তর গাজায় বাড়ছে মানবিক বিপর্যয়। তবে ৬ মাসব্যাপী যুদ্ধে প্রথমবারের মতো দুর্ভিক্ষের কথা স্বীকার করেছেন মার্কিন কর্মকর্তা। ইউএসএইডের প্রধান সামান্থা পাওয়ার জানান, উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে। অন্যদিকে হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে গাজায় ত্রাণ কার্যক্রম বাড়াতে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র।