গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে বিমান হামলা হয়। এতে সামরিক বাহিনীর দুই ব্রিগেডিয়ারসহ ১৩ কর্মকর্তা নিহত হন। এই হামলার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করে প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরান।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড ক্যামেরন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন করে বিষয়টিকে বেশিদূর না গড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। লর্ড ক্যামেরন বলেন, 'স্পষ্ট করে বলে দিয়েছি, ইরানের উচিত হবে না মধ্যপ্রাচ্যকে বড় সংঘাতের মধ্যে টেনে নিয়ে যাওয়া। হিসাব-নিকাশে কোথাও একটা ভুল হয়ে গেলে তা আর বড় সংঘাত ডেকে আনতে পারে, এটাই বেশি ভাবাচ্ছে আমাকে।'
বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সতর্ক করে বলেছেন, ইরানের দিক থেকে তীব্র আক্রমণের হুমকি আছে। হামলা থেকে রক্ষায় ইসরাইলকে আয়রনক্ল্যাড দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয় কমান্ডার এরিক কুরিল্লার নেতৃত্বে। তিনি ইতিমধ্যে নিরাপত্তা হুমকি নিয়ে কথা বলতে ইসরাইল সফরে গেছেন।
পেন্টাগন বলছে, সফরটি পূর্ব নির্ধারিতই ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের কারণে এগিয়ে আনা হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইল বিরোধী বিভিন্ন গোষ্ঠীকে সমর্থন দেয় ইরান। হামাস যার মধ্যে অন্যতম। গাজায় ইসরাইলের সাথে যুদ্ধ করছে গোষ্ঠীটি। লেবাননের হেজবুল্লাহও নিয়মিত ইসরাইলি বাহিনীর ওপর হামলা চালাচ্ছে।