অবরুদ্ধ গাজার প্রায় প্রতিটি কোণায় দু'মুঠো খাবারের জন্য হাহাকারের দৃশ্য দেখা যায়। চাল-ডালে খিচুরি, শুকনো রুটি বা ঘাস-লতা-পাতা, যখন যার ভাগ্যে যা জুটছে তাই খেয়ে জীবন বাঁচাচ্ছেন অসহায় ফিলিস্তিনিরা। পুষ্টির অভাবে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে নারী, শিশু ও বৃদ্ধ।
ফিলিস্তিনেরর জেলে জালাল কারান জানান তার দুর্বিষহ অভিজ্ঞতার কথা। হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ শুরুর আগে তার ছোট্ট নৌকা নিয়ে সমুদ্রের গভীর সীমানায় যেতে পারতেন মাছ ধরতে। তবে ইসরাইলি নৌবাহিনীর হামলার ভয়ে এখন আর সেই সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, 'যুদ্ধ শুরু আগে নৌকা নিয়ে আমরা অনেক দূরে যেতে পারতাম। এখন তা নিষিদ্ধ। তারপরও ইসরাইলি গুলির ভয় মাথায় নিয়েই মাঝে মধ্যে আমাদের গভীর সমুদ্রে যেতে হয়।'
জালান কারানের মতো গাজার সব জেলের একই অবস্থা। সমুদ্রেও রয়েছে তাদের প্রাণ যাওয়ার ভয়।
অন্য এক জেলে বলেন, 'যারাই সমুদ্রে যায়, তারা জীবনবাজি রেখেই যায়। আজকেও কয়েকজন ছেলে যখন মাছ ধরতে নদীতে যায়, চারটি বড় জাহাজ তাদের ঘিরে ফেলে। জেলেদের লক্ষ্য করে গুলি করে। কোনোরকমে তারা প্রাণে বেঁচে ফিরেছে।'
এই রমজানে অন্তত পরিবারের মুখে খাবার তুলে দিতেই জীবন বাজি রেখে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাচ্ছেন গাজার জেলেরা।
শুধু মাছ নয়, গাজায় নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব জিনিসেরই চাহিদার তুলনায় যোগান নেই বললেই চলে। তাই দামও আকাশ ছোঁয়া।
হামাস-ইসরাইল যুদ্ধে ইসরাইলি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত প্রাণ গেছে ৩২ হাজার ফিলিস্তিনির। আর খাবার ও সুপেয় পানির অভাবে মানবেতর জীবন পার করছেন লাখ মানুষ।