উত্তর আমেরিকা
বিদেশে এখন
0

গণহত্যাকারীর তকমা পেলেন বিদায়ী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন

গাজায় অস্ত্রবিরতির সবশেষ তথ্য জানাতে গিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এবার গণহত্যাকারীর তকমা পেলেন বিদায়ী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিং রুমে ব্লিংকেনের ওপর চড়াও হয় এক সাংবাদিক। চিৎকার করে ঐ সাংবাদিক বলেন, ব্লিংকেন গাজার গণহত্যার সাথে জড়িত। তার বিচার হবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে।

ওয়াশিংটন ডিসির এই পররাষ্ট্র দপ্তরে অসংখ্যবার ব্রিফিং করেছেন বিদায়ী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। আর ৪৮ ঘণ্টার কিছু সময় পর অব্যাহতিও নেবেন তিনি। এই বিদায়টা সুখকর কোনো স্মৃতি হতে পারতো ব্লিংকেনের জন্য। কিন্তু তা হয়নি। গণহত্যাকারীর তকমা গায়ে নিয়ে, সাংবাদিকের ভর্ৎসনা শুনতে হয়েছে তাকে।

বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শেষ সংবাদ সম্মেলন চলাকালে ব্লিংকেনকে আক্রমণ করেন গণমাধ্যমকর্মী স্যাম হুসেইনি। গাজায় চলমান গণহত্যায় বাইডেন প্রশাসন ও তার পররাষ্ট্র দপ্তরের মদত ছিল এমন অভিযোগ তুলে স্যাম বলেন, ‘ব্লিংকেন একজন খুনি। তার এখন নেদারল্যান্ডসের হেগে থাকার কথা। যেখানে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত অবস্থিত। স্যামের দাবি সেখানেই ব্লিংকেনের বিচার হওয়া উচিত।’

যদিও এসময় গণমাধ্যম কর্মী স্যামকে উত্তেজিত না হয়ে যুদ্ধবিরতির প্রক্রিয়ায় আস্থা রাখার অনুরোধ জানান ব্লিংকেন।

স্যাম বলেন, ‘আচ্ছা! আপনি আমাদের বলছেন, প্রক্রিয়ার ওপর আস্থা রাখতে? যখন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল থেকে আইসিজের মতো সংস্থা বলছে ইসরাইল গণহত্যা চালাচ্ছে। আর আপনি এখনও বলছেন, প্রক্রিয়ায় আস্থা রাখতে। আপনি খুনি! আপনার তো এখন হেগে থাকার কথা। আপনি এখানে কেন।’

এর একপর্যায়ে ঐ গণমাধ্যমকর্মীকে ব্রিফিং কক্ষ থেকে সরিয়ে নেন আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা। এ নিয়ে মোট ৩ বার গাজা ইস্যুতে মার্কিন প্রশাসনের অবস্থান নিয়ে গণমাধ্যম কর্মী ও সাধারণ জনগণের তোপের মুখে পড়লেন ব্লিংকেন।

আগামী ১৯ জানুয়ারি কার্যকর হতে যাওয়া অস্ত্রবিরতিকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের অর্জন হিসেবে দেখলেও, গেল ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় চলমান ইসরাইলি আগ্রাসন নিয়ে বারবার তোপের মুখে পড়েছে বাইডেন প্রশাসন। তাই, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে শেষ সংবাদ সম্মেলনটি তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়েই সারতে হল ব্লিংকেনকে।

ইএ