যুদ্ধ , মধ্যপ্রাচ্য
বিদেশে এখন
0

গাজায় অনাহারে ২৩ শিশুর মৃত্যু

অনিশ্চিত হামাস-ইসরাইল যুদ্ধবিরতি

মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে ক্ষুধার যন্ত্রণায় থাকা ফিলিস্তিনি শিশুরা। চিকিৎসকেরা গ্লুকোজ ও স্যালাইন দিলেও ব্যর্থ হচ্ছে সব চেষ্টা। গাজা উপত্যকায় অনাহারে প্রাণ গেছে ২০ জনের বেশি শিশুর। সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, শুধুমাত্র হাসপাতালে মারা যাওয়া শিশুদের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি। জাতিসংঘ বলছে প্রাণহানি এড়াতে জরুরি ভিত্তিতে ৮ হাজার রোগীকে গাজা থেকে স্থানান্তর প্রয়োজন।

নাবলুসিতে ত্রাণবহরে হামলার এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই আবারও হামলা হয়েছে ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর। শুক্রবারও গাজা সিটিতে ত্রাণের জন্য অপেক্ষমান মানুষের ওপর বন্দুক হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। বিমানের মাধ্যমে ফেলা যুক্তরাষ্ট্রের ত্রাণও অভিশাপ হয়ে এসেছে ফিলিস্তিনিদের জন্য। ত্রুটিযুক্ত প্যারাসুটের কারণে ত্রাণ পড়েছে জনবহুল আল শাতি শরণার্থী শিবিরে। এতে প্রাণ হারিয়েছেন কয়েকজন।

পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল পাট রাইডার বলেন, 'মার্কিন বিমান থেকে ফেলা ত্রাণের কারণে বেসামরিক হতাহতের ঘটনা মিথ্যা। আমরা নিশ্চিত করেছি ত্রাণগুলো নিরাপদে মাটিতে অবতরণ করেছে।'

জাতিসংঘের বিশেষ দূত মাইকেল ফাখরি বলের, 'যখন সব পথই বন্ধ, তখনই বিমানের মাধ্যমে ত্রাণ ফেলা হয়। মানবিক সহায়তা নিয়ে কাজ করা সবাই এ বিষয়ে একমত। এটি খুবই ব্যয়বহুল ও অকার্যকর পদ্ধতি। এতে করে বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে। আর দুর্ঘটনার জন্য আমরা ফিলিস্তিনিদের দায়ী করতে পারি না।'

এদিকে, সড়ক ও আকাশ পথের পাশাপাশি সমুদ্রপথে গাজায় সহায়তা পৌঁছানোর কথা জানালেও উপকূলে অস্থায়ী বন্দর তৈরিতে আরও কয়েক সপ্তাহ লাগবে বলছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে সাইপ্রাস থেকে গাজা উপকূলে মানবিক সামুদ্রিক করিডোর কয়েকদিনের মধ্যে চালুর আশা ইউরোপীয় ইউনিয়নের।

ইউরোপিয়ান কমিশন এর প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেন, 'সাইপ্রাস, ইইউ, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ উদ্যোগে আমরা সামুদ্রিক করিডোর তৈরি করতে যাচ্ছি। সবার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে এ কাজটি সম্ভব হচ্ছে। এটি খুবই উৎসাহব্যঞ্জক।'

রমজানের আগে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের চেষ্টা চালালেও এখন তা কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বল এখন হামাসের কোর্টে। তবে হামাস বলছে উপত্যকা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার না করা হলে জিম্মিদের মুক্তি দেয়া হবে না। তাই অনিশ্চিত হয়েছে পড়েছে হামাস-ইসরাইল যুদ্ধবিরতি।

শুধু গাজায় নয়, যুদ্ধের কারণে সহিংতা বেড়েছে পশ্চিমতীরেও। জাতিসংঘের প্রতিবেদন বলছে যুদ্ধ শুরুর পর ফিলিস্তিনিদের ওপর ৬শ' বারের বেশি হামলা চালিয়েছে দখলদারেরা। সেখানে নিহতের সংখ্যা ৪শ' ছাড়িয়েছে।

এসএসএস