হুতি আতঙ্কে রুট পরিবর্তন করায় এশিয়া-ইউরোপে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলে অন্তত ৪শ' শতাংশ খরচ বেড়েছে।
ইয়েমেনের হুতিদের লক্ষ্যবস্তুতে বারবার হামলা চালিয়েও লোহিত সাগরকে শান্ত করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন। বরং উত্তেজনার পারদ আরও বেড়েছে। গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন এবং ইয়েমেনে মার্কিন ও ব্রিটিশ আক্রমণের জেরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার ভয়াবহতা বাড়িয়েছে ইরান সমর্থিত হুতিরা। ইউরোপ-আমেরিকার জাহাজ ছাড়াও ভারতসহ অন্যান্য দেশের পণ্যবাহী জাহাজও হামলার শিকার হচ্ছে।
হুতি আতঙ্কে অনেক বাণিজ্যিক জাহাজ অতিরিক্ত ১০ থেকে ১৫ দিন ব্যয় করে আফ্রিকা ঘুরে যাতায়াত করলেও, চলমান সংকট থেকে মুক্তি পেতে স্থায়ী সমাধান চান ব্যবসায়ীরা। কারণ রুট পরিবর্তনে পণ্য পরিবহনে সময় যেমন বেশি লাগছে, তেমন বাড়তি অর্থ ব্যয় হচ্ছে।
এরইমধ্যে ইউরোপিয়ান ইকোনমিক কমিশনার পাওলো গেন্তিলোনি জানিয়েছেন, চীন থেকে ইউরোপে পণ্য পৌঁছাতে খরচ বেড়েছে প্রায় ৪০০ শতাংশ। এতে আমদানিনির্ভর অনেক পণ্যের দাম বাড়ছে। এর ভুক্তভোগী এশিয়ার দেশগুলো। ফলে অনেক দেশের জন্যই মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরা কঠিন হয়ে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
এ অবস্থায় লোহিত সাগর নিরাপদ করতে কোমর বেঁধে নামছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। কার্গো জাহাজ রক্ষায় লোহিত সাগরে একটি নৌ মিশন চালু করার পথে এগুচ্ছে ইউরো অঞ্চলের দেশগুলো। আর মিশনটি ১৯ ফেব্রুয়ারি চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল। এর লক্ষ্যে সোমবার ব্রাসেলসে জরুরি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে লোহিত সাগরের আশপাশের অঞ্চলের নিরাপত্তায় ভারতের সঙ্গে হাত মেলাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে কথা বলতে জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত নিরাপত্তা কনফারেন্সের ফাঁকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন।