যেভাবেই হোক লোহিত সাগর থেকে হুতি আতঙ্ক দূর করতে উঠে পরে লেগেছে যুক্তরাষ্ট্র। কারণ একের পর এক বাণিজ্যিক জাহাজে হুতি আক্রমণে বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে, এশিয়া ও ইউরোপের বাণিজ্য মন্থর হয়ে পড়ছে। দেশে দেশে মূল্যস্ফীতি মাথাচাড়া দেয়ার শঙ্কা বাড়ছে।
এমনকি এই অঞ্চলে মার্কিন নৌ বাহিনীর জাহাজেও হামলার হুমকি দিয়েছে হুতিরা। এ অবস্থায় গত সপ্তাহে ইয়েমেনের বিভিন্ন শহর-বন্দরে হামলা চালানো শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। তবুও হুতিদের দমানো যাচ্ছে না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
এবার কৌশল পাল্টে ইয়েমেনের শহর-বন্দরকে লক্ষ্যবস্তু না করে লোহিত সাগরে নিক্ষেপের জন্য প্রস্তুত করা হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে টার্গেট করছে যুক্তরাষ্ট্র। এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করার দাবি করছে দেশটি।
এদিকে লোহিত সাগরে চলমান উত্তেজনায় সুয়েজ খাল দিয়ে জাহাজ চলাচল কমে গেছে। ফলে মিশরের অর্থনীতিতে বইছে মন্দা হাওয়া।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার হিসাব বলছে, জানুয়ারির প্রথম ১১ দিনে সুয়েজ খাল থেকে রাজস্ব কমেছে ৪০ শতাংশ। একই সময়ে খালটি দিয়ে গম পরিবহন কমেছে অন্তত ৫ লাখ টন।





