নতুন বাজেট নিয়ে তোপের মুখে নেতানিয়াহু

মধ্যপ্রাচ্য
বিদেশে এখন
0

যুদ্ধের খরচ জোগাতে ইসরাইলের হিমশিম অবস্থা

গাজায় যুদ্ধের খরচ চালানোর তহবিল সংগ্রহে হিমশিম খাচ্ছে ইসরাইল। বাজেটে অতিরিক্ত দেড় হাজার কোটি ডলার যুদ্ধের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এমন পদক্ষেপে নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা চটেছে।

গাজায় হামলা চালতে গিয়ে প্রথম ১০০ দিনে আনুমানিক ২ হাজার ৭oo কোটি ডলার খরচ করেছে তেল আবিব। এই সংঘাতে ইসরাইল প্রতিদিন ২৭ কোটি ডলার ব্যয় করেছে বলে হিসাব দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

যেকোন যুদ্ধ পরিচালনার এমন উচ্চব্যয় সরকার ও রাষ্ট্রীয় কোষাগারের জন্য চাপের কারণ। যুদ্ধের তহবিল যোগান দেয়াও রাজনৈতিকভাবে তৈরি করে বিতর্ক। ইসরাইলের বর্তমান সরকার এরইমধ্যে গাজায় সেনা অভিযানের তিন মাস পার করেছে। চলমান যুদ্ধের খরচ মেটাতে গত ডিসেম্বরেই ইসরাইল সরকারকে জরুরি ভিত্তিতে ৭৮৫ কোটি ডলার ধার করতে হয়েছে।

বিভিন্ন সরকারি তহবিল কমিয়ে ও ব্যয় বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জন্য ১৫ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের বাজেট প্রস্তাবনা দেয় নেতানিয়াহু সরকার। সর্বোচ্চ ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সামরিক খাতে। যেখানে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য অতিরিক্ত দেড় হাজার কোটি ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছ। বরাদ্দের এই অর্থ ২০২৪ সালে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া, বন্দিদের মুক্ত করা, দেশের নিরাপত্তা ও হামাস নির্মূলের কাজে ব্যবহার করবে তেল আবিব। এছাড়া লেবানন সীমান্তে বাস্তুচ্যুত হওয়া ১ লাখ ইসরাইলিকে সহায়তা দেয়া হবে।

এমন পদক্ষেপে মন্ত্রিসভার তোপের মুখে পড়েন নেতানিয়াহু। পরে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে বাজেট বাড়িয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। মূলত গত মে মাসে দুই বছরের জন্য ২৭ হাজার কোটি ডলারের বাজেট পেশ করা হয়।

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ইসরাইলকে নিরাপদ রাখতে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে। যুদ্ধ পরিচালনায় ইসরাইল সংকটে পড়লে ভরসা করতে হবে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ও আর্থিক সহায়তার ওপর।

এদিকে ইসরাইলের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, ২০২৩ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত যুদ্ধ-সম্পর্কিত খরচ ৫ হাজার ৫৬০ কোটি ডলার হতে পারে। যুদ্ধের সঙ্গে আর্থিক সমস্যা নিয়েও লড়তে হবে ইসরাইলকে। ২০২২ সালে বাজেট উদ্বৃত্ত থাকলেও চলতি বছরে ঘাটতি থাকবে।

বিরোধী দল ন্যাশনাল ইউনিটির ৫ মন্ত্রী নেতানিয়াহুর আর্থিক পরিকল্পনার বিপক্ষে ভোট দেয়। কারণ তাদের দেয়া ২১৫ কোটি ডলার বরাদ্দের একটি অংশ কেটে রাখার ঘোষণা দেয়া হয়। আন্তর্জাতিকভাবে অবৈধ হলেও ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলি বসতি স্থাপনে এই অর্থ ব্যয় করা হবে। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পেশ করা নতুন বাজেট ইসরাইলি পার্লামেন্ট নেসেটে তোলা হবে। সেখানে মাত্র তিনটি ভোট পেলেই সেটি পাশ হয়ে যাবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরাইলের অর্থনীতি দ্রুত পুনরুদ্ধারে অবশ্যই যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে।