সুয়েজ খাল দিয়ে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিদ্রোহী হুতি গোষ্ঠী। শুক্রবার বিবিসিতে এক সাক্ষাৎকারে গোষ্ঠীটির শীর্ষ নেতা মুহাম্মদ আলী আল-হুথি লোহিত সাগরে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকার কথা জানান। পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের ওপর অত্যাচার বন্ধ না হলে সুয়েজ খাল দিয়ে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল একেবারে বন্ধ করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গোষ্ঠীটির নেতারা।
লোহিত সাগরে হুতি বিদ্রোহীদের আক্রমণ আতঙ্কে আছে শিপিং কোম্পানিগুলো। এরইমধ্যে ডেনমার্কভিত্তিক জায়ান্ট শিপিং কোম্পানি মায়ারস্কসহ ১২টির বেশি শিপিং কোম্পানি সুয়েজ খাল দিয়ে তাদের জাহাজ চলাচল বন্ধ রেখেছে। বাণিজ্যিক জাহাজগুলো আফ্রিকার 'কেপ অব গুড হোপ' রুট ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে। আর এটাই বড় অর্জন বলে মনে করছেন হুতিরা।
তবে এ পরিস্থিতি বেশি দিন চলতে থাকলে অস্থির হয়ে উঠতে পারে আন্তর্জাতিক পণ্য বাজার। সুয়েজ খালের পরিবর্তে 'আফ্রিকার রুট' ব্যবহার করলে ১০ দিন অতিরিক্ত সময় লাগে মালবাহী এসব জাহাজের। এতে সময়ের সঙ্গে বাড়ছে পরিবহন খরচও। যার বড় প্রভাব পড়তে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক পণ্য বাজারে।
হুতিরা বলছে, ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষের কাছে খাবার ও ওষুধ না পৌঁছালে এই পথ দিয়ে কোন মালামাল পার হতে পারবে না। সেই সঙ্গে বাণিজ্যিকভাবে দুর্বল করে দেয়া হবে ইসরাইলকে। তাদের দাবি, লোহিত সাগর দিয়ে ইসরাইলের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেলে দেশটির অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে বড় ধরণের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে নেতানিয়াহু সরকার।
সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ হুতিদের এমন কর্মকাণ্ডের পুরোপুরি পৃষ্ঠপোষকতা করছে ইরান। বিশ্লেষকদের ধারণা দীর্ঘদিন ধরে ইসরাইল ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে মুছে ফেলতে কাজ করছে তেহরান। আর ইরানের উদ্দেশ্য হাসিলেই মাঠে নেমেছে বিদ্রোহী হুতিরা।
আর একে আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে ওয়াশিংটন ও তেল আবিব। আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে লোহিত সাগরে কার্গো জাহাজে আক্রমণে বাড়ছে পশ্চিমাদের দুশ্চিন্তা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গ্লোবাল সাপ্লাই চেইন।