যেখানে ব্লুমবার্গের জরিপে অংশ নেয়া অর্থনীতিবিদরা দশমিক ১ শতাংশ উৎপাদন কমার পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। সম্প্রতি স্ট্রেইটটাইমসে প্রকাশিত খবরে এ তথ্য জানা গেছে।
দেশটির ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, বায়োমেডিকেল খাতে উৎপাদন ১ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। সিঙ্গাপুরের অর্ধেকের বেশি উৎপাদন বৈদ্যুতিক পণ্য নির্ভর। বছরওয়ারি হিসেবে এ খাতের উৎপাদনও ৫ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। যেখানে মে মাসে ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছিল।
প্রযুক্তি খাতের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনেও বেশ পরিচিত সিঙ্গাপুর। জুন মাসে এ খাতেও উৎপাদন কমেছে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ। তবে অন্যান্য ইলেকট্রনিক মডিউল ও উপাদানের উৎপাদন বেড়েছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। অন্যদিকে কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ও ডাটা স্টোরেজের উৎপাদন বেড়েছে ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ। এছাড়াও ইনফোকম ও ভোক্তা বৈদ্যুতিক পণ্যের উৎপাদনও ২০ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে।
মে ব্যাংকের অর্থনীতিবিদ চুয়া হক বিন বলেন, ‘জুনে শিল্প খাতে উৎপাদন সংকোচনের কারণে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সিঙ্গাপুরে দেশিয় পণ্যের উৎপাদন ২ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে আসবে। যেখানে দেশটির বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় ২ দশমিক ৯ শতাংশ উৎপাদনের পূর্বাভাস দিয়েছিল।
তিনি জানান, লোহিত সাগরের সংকট থেকে বন্দরে যানজট তৈরি হওয়ার কারণে পণ্য নির্ধারিত সময়ে বাজারে আনা যাচ্ছে না, ফলে বৈদ্যুতিক পণ্যের বাজার পুনরুদ্ধারে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অন্যদিকে দেশের সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন খাত যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ওপর নির্ভরশীল নয় সে কথাও জানান তিনি।
অর্থনীতিবিদ চুয়া হক বিন বলেন, ‘এআইয়ের পাশাপাশি বৈদ্যুতিক পণ্যের চাহিদাও বাড়ছে। সে হিসেবে বছরের দ্বিতীয়ার্ধ্বে বাজার অনেকটাই ঘুড়ে দাঁড়াবে।’
প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, জুন মাসে দেশটির বায়োমেডিকেল খাতের উৎপাদন সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থায় ছিল। ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় চলতি বছর এ খাতের উৎপাদন ২৩ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে।