গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৯৬ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইলি বাহিনী। মোট প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৬০৮ জনে। এদিকে, গত একদিনে ১০ ইসরাইলি সেনাকে হত্যা করেছে হামাস। এ নিয়ে যুদ্ধে মোট ১১৫ জন ইসরাইলি সেনা প্রাণ হারিয়েছে।
গাজায় কিছুতেই থামছে ইসরাইলি আগ্রাসন। বরং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বানে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব পাসের পর হামলার তীব্রতা আরও বাড়িয়েছে দখলদাররা। গাজার পাশ্ববর্তী জেলা শেজাইয়া'র শরণার্থী শিবিরেও চালানো হচ্ছে অভিযান। তবে ইসরাইলি বাহিনীকে ছাড় দিচ্ছেন না হামাস যোদ্ধারাও।
গাজায় স্থল অভিযানে থাকা ইসরাইলি বাহিনীর উপর চালানো একটি সফল হামলার ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাসের সামরিক শাখা। যেখানে দেখা যায় দখলদার বাহিনীর বেশ কয়েকটি সাজোয়া যান ধ্বংস করে দিয়েছে হামাস। এমনকি পরিত্যক্ত ভেবে একটি ভবনে অনুসন্ধান অভিযান চালাতে গিয়ে অতর্কিত হামলার শিকার হয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। এসময় দুই কমান্ডারসহ ১০ ইসরাইলি সেনা প্রাণ হারান। এরমধ্য দিয়ে গাজায় স্থল অভিযানে ১১৫ জন সেনা হারালো ইসরাইল।
সর্বত্র হামলা চালিয়ে গাজা উপত্যকাকে বেসামরিক নাগরিকদের জন্য অনিরাপদ করে তোলায় ইসরাইলের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন কমতে শুরু করেছে বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে কোনো আন্তর্জাতিক চাপই হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের অভিযান থামাতে পারবে না বলে মন্তব্য করছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বলেছেন, 'আমি আন্তর্জাতিক চাপের মুখেও বলতে চাই, কোনো কিছুই আমাদের থামাতে পারবে না। হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত ইসরাইল যুদ্ধ চালিয়ে যাবে। যুদ্ধের ময়দানে কর্মরত কমান্ডারদের স্পষ্টভাবে বলতে চাই, হামাসের বিরুদ্ধে বিজয়ই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।'
ইসরাইলি হামলার মধ্যে গাজাবাসীর দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিয়েছে বৃষ্টিপাত। খাবার, পানি ও চিকিৎসা ব্যবস্থার মতো মৌলিক সুবিধা সংকটের মধ্যে শীত মৌসুমে বৈরি আবহাওয়া বাস্তুচ্যুতদের জীবন যুদ্ধকে আরও কঠিন করে তুলেছে।
লাখ লাখ উদ্বাস্তুদের জন্য ৫০ মিলিয়ন ডলার সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে কাতার।
এদিকে দখলকৃত পশ্চিমতীরেও ভয়াবহ তাণ্ডব চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। জেনিনে তৃতীয় দিনের মতো চলছে বিরতিহীন অভিযান। এতে অনেক ফিলিস্তিনি হতাহতের শিকার হয়েছেন। ৪ শতাধিক বাড়িতে চালানো হয়েছে তল্লাশি। ড্রোন হামলায় বিধ্বস্ত হয়েছে শহরটির বিভিন্ন সড়ক ও আবাসিক ভবন। টার্গেট করা হচ্ছে শরণার্থী ক্যাম্পও। নাবলুসেও হামলা-ধরপাকড় অব্যাহত রয়েছে। পূর্ব জেরুজালেমে গুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর।





