এ অবস্থায় আঞ্চলিক সংঘাতের ঝুঁকি যেমন বেড়েছে, তেমনি হুমকিতে পড়েছে বৈশ্বিক সামুদ্রিক বাণিজ্য। লোহিত সাগরকে ভূমধ্যসাগরের সঙ্গে যুক্ত করা সুয়েজ খাল দিয়ে পণ্যবাহী জাহাজ পরিবহনে ভয় পাচ্ছে ব্যবসায়ীরা।
বলতে গেলে, সুয়েজ খালের সাড়ে ১১ হাজার কিলোমিটারের মধ্যে হুতিদের আকস্মিক অভিযান বিশ্ব বাণিজ্যকে শঙ্কিত করে তুলছে।
এদিকে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় পানামা খাল দিয়েও জাহাজ চলাচল ব্যহত হচ্ছে। প্রশান্ত মহাসাগর থেকে আটলান্টিক পর্যন্ত ৫০ মাইল দীর্ঘ খাল অতিক্রম করতে একেকটি জাহাজকে গড়ে ১২ দিনের বেশি অপেক্ষা করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানামা খাল কর্তৃপক্ষ। এতে এ রুট দিয়ে জাহাজ চলাচল প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
একইসঙ্গে বৈশ্বিক বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ করিডোর দুটির সংকটের কারণে বিপাকে পড়েছেন আমদানিকারকরা। যার কারণে যুক্তরাজ্যসহ অনেক বাজারে আইফোনের মতো ইলেকট্রনিক পণ্য পাওয়া দুর্লভ হয়ে পড়ার শঙ্কা বেড়েছে।
এমনকি খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ক্রিসমাস বা বড়দিন ঘিরেও চলমান বাণিজ্যে লেগেছে ভাটার টান। এতে করে সময়মত উৎসবের সাজসজ্জা সামগ্রী পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে আরও দীর্ঘ ও ব্যয়বহুল বাণিজ্যিক রুট বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এরইমধ্যে এশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলাচলকারী কমপক্ষে ৪২টি জাহাজ রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে।
এই সুযোগে জাহাজ ভাড়াও বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকটি জাহাজ কোম্পানি। এমনকি ইসরাইলে পণ্য আনা-নেয়ার জন্য ৮০ ডলার পর্যন্ত ঝুঁকি সারচার্জ ঘোষণা করা হয়েছে।
এভাবে চলতে থাকলে বিশ্বজুড়ে খাদ্যপণ্যসহ সব ধরনের পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় ভয়াবহ জটিলতা তৈরি হবে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।





