মধ্যপ্রাচ্য
বিদেশে এখন
0

ইসরাইলি হামলায় নতুন করে ১৮৩ ফিলিস্তিনি নিহত

কাতারের যুদ্ধবিরতি আলোচনা ভেস্তে গেছে। পরস্পরকে যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গের দোষারোপ।

মাত্র এক সপ্তাহ একটু নিশ্চিন্তে রাত কাটিয়েছিল গাজাবাসী। যুদ্ধবিরতি শেষে একসঙ্গে ইসরাইলি বিমান ও ড্রোন হামলা শুরু হয়েছে গাজার উত্তর ও দক্ষিণে।

জবাবে হামাসসহ গাজার স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলো ইসরায়েলের সীমান্ত এলাকা লক্ষ্য করে রকেট ও মর্টার হামলা চালিয়েছে। এতে ইসরায়েলের পাঁচ সেনা আহতের খবর পাওয়া গেছে। তাদের সঙ্গে হামলা শুরু করেছে লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠি।

ইসরায়েল সেনাবাহিনীর দাবি, হামাস যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করে ইসরাইলে হামলা চালিয়েছে। এদিকে, হামাস বলছে, সমঝোতার কোনো প্রস্তাব রাখেনি ইসরাইলি বাহিনী। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগে আবারও যুদ্ধ শুরু হলো। এ ছাড়া দক্ষিণ গাজার বাসিন্দাদের মিশর সীমান্তের রাফাহ এলাকায় সরে যেতে লিফলেট দেয় ইসরাইল বিমানবাহিনী।

এই অবস্থায় গাজায় আবারও যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো। সবারই আশা দুই পক্ষ আবারও সমঝোতায় আসবে। তবে নতুন করে লড়াই শুরু হওয়ায় ভেস্তে গেছে কাতারের যুদ্ধবিরতি আলোচনাটি ।

এদিকে, চরমে পৌঁছেছে গাজায় মানবিক সংকট। মিশরের রাফাহ ক্রসিংয়ে ত্রাণবাহী শত শত ট্রাক আটকে আছে। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত গাজায় কোনো ধরনের মানবিক সহায়তা ঢুকতে পারছে না।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জানান, গাজায় মানবিক সহায়তা এখন অনিশ্চিত। গাজায় চাহিদার তুলনায় সাহায্যের মাত্রা খুবই কম ছিল। পুণরায় যুদ্ধ শুরু হওয়ায় ফের অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে মানবিক সহায়তা বিতরণের কাজ। যা গাজাবাসীর জীবনকে আরও কঠিন করে তুলবে।

গাজায় চাহিদার তুলনায় সাহায্যের মাত্রা খুবই কম ছিল। পুণরায় যুদ্ধ শুরু হওয়ায় ফের অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে মানবিক সহায়তা বিতরণের কাজ। যা গাজাবাসীর জীবনকে আরও কঠিন করে তুলবে।

এদিকে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর জেষ্ঠ্য উপদেষ্টা মার্ক রিগেভ বলেন, ইসরায়েলি গোয়েন্দা ব্যর্থতায় জনগণের রক্ত দিয়ে মূল্য পরিশোধ করতে হচ্ছে। ৭ অক্টোবর ইসরাইলিদের জন্য একটি ভয়ঙ্কর দিন।

গাজা-ইসরাইল যুদ্ধের টানা ৪৭ দিন পর ৩ দফায় ৭ দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এ ৭ দিনে হামাস ১০৫ জিম্মিকে মুক্তি দেয়। বিনিময়ে ২৪০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেয় ইসরাইল।

আরও পড়ুন: