এ যেন এক আলোর রাজ্য। যেখানে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে বাহারি রঙের ঝলমলে আলো।
দৃষ্টিনন্দন এ আলোকসজ্জা করা হয়েছে লন্ডনে। রঙিন আলোয় শহরটির বিখ্যাত কিউ গার্ডেন বা রয়্যাল বোটানিক গার্ডেনের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে কয়েকগুণ। এখন থেকেই খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ক্রিসমাস বা বড়দিনের আমেজ ছড়িয়ে দিতে এ আয়োজন। যা দেখতে ছুটে যাচ্ছে সব বয়সী মানুষ।
ডিসেম্বরে ক্রিসমাস ঘিরে লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী এ উদ্যানে দর্শনার্থী আনাগোনা বাড়ানোর পাশাপাশি সবার মাঝে এখন থেকেই ক্রিসমাস আনন্দ ছড়িয়ে দিতে এ আয়োজন । এ আলোর আয়োজন ১৪ নভেম্বর রাত থেকে ২০২৬ সালের ৪ জানুয়ারি রাত পর্যন্ত চলবে।
লন্ডন কিউ গার্ডেনের বাণিজ্যিক প্রধান অ্যাডাম থো বলেন, ‘এটি সত্যিই খুব বিশেষ। আগামী ৪৯ রাত অন্তত তিন লাখের বেশি মানুষ আমাদের এখানে অসাধারণ আলোর প্রদর্শনী বা অনুষ্ঠানটি দেখতে আসবেন বলে প্রত্যাশা করছি।’
আরও পড়ুন:
এর আগে ৬ নভেম্বর থেকেই লন্ডনের কার্নাবি স্ট্রিটে শুরু হয়েছে ক্রিসমাস আলোকসজ্জার প্রদর্শনী। ক্রিসমাস ঘিরে 'অল ইজ ব্রাইট' থিমের এই আলোর প্রদর্শনীর উদ্বোধনী দিনে ছিলো আতশবাজি এবং সঙ্গীত পরিবেশনাও।
যুক্তরাজ্য ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শহরে শহরে ক্রিসমাস উৎসব আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। এরমধ্যে যে করোরই নজর কাড়তে বাধ্য জার্মানির রাজধানী বার্লিনের এ আলোর খেলা। যেখানকার রঙিন আলোর মাঝে থাকা বরফে স্কেটিং করা সুযোগ দর্শনার্থীদের আরও বেশি আকৃষ্ট করছে। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় সবার মাঝে বড়দিনের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে এ আয়োজন।
দর্শকদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আলোসহ পুরো সাউন্ডট্র্যাকটি ইলেকট্রনিক। বার্লিন মানেই প্রযুক্তির বিশেষ ছোঁয়া। আমাদের সেখানে এমন কিছু রয়েছে, যা আপনার মনকে রাঙিয়ে তুলবেই। ক্রিসমাস ও শীতকালের কথা মাথায় রেখে পুরো আয়োজনটি সাজানো হয়েছে।’
বার্লিনের বিশেষ এ আয়োজনে ৬০০টি ক্রিসমাস ট্রি উল্টে করে ঝুলিয়ে নান্দনিক আলোকসজ্জায় যুক্ত করেছে বাড়তি মাত্রা। ২০২৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থাকবে নজরকাড়া এ আলোকৎসব।
এদিকে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের জেরে দুই বছর নীরব উদযাপনের পর, এবার যীশুর জন্মস্থান হিসেবে পরিচিত অধিকৃত পশ্চিম তীরের ঐতিহাসিক শহর বেথলেহেমেও আনন্দময় এবং উৎসবমুখর বড়দিনের প্রস্তুতি চলছে।





