ভ্যালেন্টাইন ডে বা বিশ্ব ভালোবাসা দিবস শুরুর বাকি মাত্র কয়েক ঘণ্টা। এরইমধ্যে দেশে দেশের ফুলের দোকানগুলোতে চলে এসেছে বাগানের সেরা সেরা ফুলগুলো। গ্রাহকদের নজর কাড়তে দৃষ্টিনন্দন করে সাজিয়ে রাখা হচ্ছে বাহারি ফুল। ছড়াচ্ছে মন মাতানো সৌরভ।
দোকানে থরে থরে সাজানো ফুলের এই দৃশ্যটি ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের। ভালোবাসা দিবসে গ্রাহকরা চাওয়া মাত্রই পছন্দের ফুলটি হাতে তুলে দিতে চলছে শেষ সময়ের ব্যস্ততা। দম ফেলার ফুরসত নেই বিক্রয় কর্মীদের। এখন কেবল অপেক্ষা ভালোবাসার শুভেচ্ছা বিনিময়ে মেতে উঠতে যাওয়া মানুষের কাছে ফুল পৌঁছে দেয়া।
গ্রাহকদের পছন্দের ফুলটি কতটা দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের হাতে তুলে দেয়া যায় তারই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। সারাবছর ফুল বিক্রি করলেও এই ভালোবাসা দিবস ঘিরে আমাদের ব্যবসা বেশ চাঙা থাকে।
প্যারিসের এই ফুল দোকানি জানালেন, ফুল সাজসজ্জা ও ভালোবাসার ভাব আদান-প্রদানের উপলক্ষ হলেও, দোকানটিতে এমন বিশেষ ফুলও আছে যা খাওয়ার উপযোগী। ফুলের নাম কার্নেশন।
এক বিক্রেতা জানান, এটি আকর্ষণীয় স্বাদের একটি ফুল। এর স্বাদ লবঙ্গের মতো ঝাঁঝালো। এই ফুলটি খাবার উপযোগী হওয়ায় ভালোবাসা দিবসে শুভেচ্ছা বিনিময় ছাড়া বারগুলোতেও চাহিদা ব্যাপক। পানিয়ের গ্লাস সাজাতেও ব্যবহার ফুলের। যা বারগুলোর ভোক্তাদেরও আকৃষ্ট করার এক অন্যান্য মাধ্যম। চুমুকে চুমুকে গ্লাসে পাওয়া ফুলের মোহনীয় সৌরভে হারিয়ে যান ভোক্তারা।
আরেকজন জানান, পানীয়র গ্লাস ফুল দিয় সাজানোর দৃশ্যটি খুবই সুন্দর। আমার মনে হয় সবাই এটি স্বীকার করবেন যে, পানীয়তে চুমুক দিতেই ভেসে আসা ফুলের গন্ধ বাড়তি স্বাদ ও আনন্দ দেয়।
ফ্রান্সের প্রায় ৮৫ শতাংশ ফুলই আমদানি হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে। তাই দেশিয় ফুল উৎপাদকদের টিকিয়ে রাখার ক্ষুদ্র প্রয়াস হিসেবে, ২০১৮ সালে প্যারিসে এই দোকানটি দিয়ে ফুল ব্যবসা শুরু করেন ব্লাঞ্চ পিয়াট। আমদানি করা ফুলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে, স্থানীয় ১০ জন ফুল উৎপাদকের কাছ থেকে সংগ্রহ করা ফুল দিয়ে এগিয়ে নিচ্ছেন ব্যবসা।