রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে রাশিয়া সফরে গিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সবশেষ ২০১৯ সালে মস্কো গিয়েছিলেন তিনি। তার এবারের সফরের মূল অ্যাজেন্ডা সামরিক, অর্থনৈতিক ও জ্বালানি খাতে পারস্পরিক সহায়তা বাড়ানো।
নরেন্দ্র মোদির রাশিয়া সফর নিয়ে এরইমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এ নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম 'দ্য নিউইয়র্ক টাইমস'। এতে বলা হয়, রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও দেশটিকে সমর্থন দিচ্ছে ভারত। মোদির এবারের সফরে দু'দেশের এ সম্পর্ক আরও ভালো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভারত তার পররাষ্ট্রনীতিতে অনড়। ইউক্রেনে হামলার জেরে রাশিয়াকে পশ্চিমারা গোটা বিশ্ব থেকে আলাদা করার চেষ্টা করলেও ভারত সবসময় দেশটির পাশে থেকেছে। রাশিয়া থেকে তেল রপ্তানি করেছে নয়াদিল্লি। শুধু ভারতই নয় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোও স্বল্পমূল্যে রাশিয়া থেকে তেল কিনেছে।
অপরদিকে ভারতকে অস্ত্র-গোলাবারুদ সরবরাহ করছে রাশিয়া। যা ভারত-চীন সীমান্তের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। চীনকে রুখতে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশের সঙ্গেই সুসম্পর্ক বজায় রাখছে নয়াদিল্লি।
অন্যদিকে পশ্চিমারা মনে করছে, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করতে তাদের চেষ্টাকে জটিল করে তুলছে রাশিয়ার পাশে ভারতের অবস্থান। আর এমন সময় পুতিন ও মোদি বৈঠক করছেন যখন ওয়াশিংটনে ন্যাটোর শীর্ষ নেতারা সম্মেলনে মিলিত হচ্ছেন। যেখানে ইউক্রেনের নিরাপত্তায় আরও অস্ত্র সহায়তার ঘোষণা আসতে পারে।