গেল কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে দক্ষিণ জার্মানির বেশ কিছু অঞ্চল। দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাভারিয়ান রাজ্য। অনেক এলাকায় পানির স্তর ১০০ বছরের রেকর্ড ছুঁয়েছে।
দেশটির দানিউব, নেকার এবং গুয়েঞ্জসহ বড় কয়েকটি নদীর পানির স্তর বেড়ে গেছে। ভেঙে গেছে বাভারিয়ার ফাফেন-হোফনে দুটি বাঁধ। এ পরিস্থিতিতে সেখানকার বাসিন্দাদের নিরাপদে যাওয়ার সতর্কবার্তা প্রচার করছে স্থানীয় প্রশাসন।
স্থানীয় একজন বলেন, '১০ বছর পর পর এ অঞ্চলে বন্যা দেখা দেয়। কিন্তু এর আগে এতো পানি দেখিনি। ২০০৩ সালের বন্যায়ও পানির উচ্চতা এবারের চেয়ে কম ছিল। অনেক আগে থেকেই এখানে সতর্কবার্তা প্রচার হচ্ছে। ভ্যানে ঘুরে ঘুরে গ্রামের মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার কথা বলছে। ১০ মিনিটের মধ্যে পানির উচ্চতা ২০ সেন্টিমিটার বেড়ে গেছে।'
নদীর পানি বেড়ে যাওয়ার তলিয়ে গেছে অনেক শহরের রাস্তা-ঘাট। বন্যকবলিত এলাকা থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৬০০ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বাভারিয়ান শহরে পানিবন্দি রয়েছে হাজারও বাসিন্দা। তাদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে কাজ করছে ৫০০ এরও বেশি উদ্ধারকর্মী।
রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। কিছু বাসিন্দাদের উদ্ধারে পাঠানো হয়েছে হেলিকপ্টার।
এদিকে ভারি বৃষ্টিপাত আরও কিছুদিন চলবে বলে জানিয়েছে জার্মানির আবহাওয়া বিভাগ। ইতোমধ্যে বাভারিয়ান রাজ্যের ১০টি জেলায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।