ট্রাম্প-জেলেনস্কির বৈঠকের পর দু'ভাগে বিভক্ত বিশ্ব

বিদেশে এখন
0

ওভাল অফিসে ট্রাম্প-জেলেনস্কির আলোচিত বৈঠকের পর দু'ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে বিশ্ব। এক হাঙ্গেরি ছাড়া পুরো ইউরোপ সমর্থন দিচ্ছে ইউক্রেনকে। কানাডা, জার্মানি, ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়ার কাছ থেকে মিলেছে সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি। অন্যদিকে জেলেনস্কিকে অশ্রাব্য ভাষায় সম্বোধনের পাশাপাশি ট্রাম্পের ধৈর্যেরও প্রশংসা করেছে রাশিয়া।

বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তির বিরুদ্ধে দৃঢ়তার সঙ্গে চোখে চোখ রেখে কথা বলে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন জেলেনস্কি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, এমনকি সাংবাদিকদের তীর্যক মন্তব্যের পরও রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতার প্রশ্নে আপোসহীন ছিলেন ইউক্রেনের সরকারপ্রধান। নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ছাড়া খনিজ চুক্তি হবে না বলেও নিজের অবস্থান ধরে রাখলেন তিনি। আর এতেই বিশ্বনেতাদের সমর্থন গেছে জেলেনস্কির ঝুলিতে।

সামাজিক মাধ্যমে ফরাসি প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, কিয়েভের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে প্যারিস। জানান, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইউরোপের নিরাপত্তা। সমর্থনের বিষয়ে একই আশ্বাস দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও। তার দাবি, অবৈধ ও অযৌক্তিক রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ৩ বছর ধরে দৃঢ়তার সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন। দীর্ঘস্থায়ী শান্তির জন্য কিয়েভের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন ইইউর প্রেসিডেন্ট। সমর্থন মিলেছে জার্মান চ্যান্সেলর, সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী, পোলিশ প্রধানমন্ত্রী ও অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেন, 'আমি অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রনীতির প্রতি দায়বদ্ধ। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি অস্ট্রেলীয় জনগণ নির্ধারণ করেন। এবং আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে ইউক্রেনের সংগ্রামে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। কারণ এই লড়াই আন্তর্জাতিক আইন সমুন্নত রাখার লড়াই।'

বিশ্বনেতাদের ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি জেলেনস্কি। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে প্রতিটি পোস্ট শেয়ার করে ক্যাপশনে যুক্ত করেছেন আপনার সহায়তার জন্য ধন্যবাদ। আলাদা পোস্টে মার্কিন কংগ্রেস সিনেট সদস্য এমনকি দেশের জনগণ।

যদিও ভিন্নমতও মিলেছে। ধারণার মতোই ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসা করেছে রাশিয়া। জেলেনস্কিকে অশ্রাব্য ভাষায় সম্বোধন করেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমানে সিকিউরিটি কাউন্সিলের উপপ্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভ। অন্যদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, বখাটে জেলেনস্কির গায়ে হাত তোলে থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে অলৌকিক ধৈর্য ধারণের নজির তৈরি করলেন ট্রাম্প ও ভ্যান্স।

হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে লিখেন, সবলরা শান্তি প্রতিষ্ঠা করে। যুদ্ধ করে দুর্বল ব্যক্তিরা। শান্তির পক্ষে অবস্থান নেয়ায় ট্রাম্পকে ধন্যবাদ দেন তিনি। মার্কিন প্রশাসনের মন্ত্রীরা প্রেসিডেন্টের ভূয়সী প্রশংসায় ব্যস্ত ছিলেন। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্পের আচরণের সমালোচনা করেন।

এসএস