রাশিয়া থেকে সীমিত তেল কেনার বিষয়ে ট্রাম্পকে আশ্বস্ত করেছেন মোদি

নরেদ্র মোদি ও ডোনাল্ড ট্রাম্প | ছবি: সংগৃহীত
0

ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের বিষয়টি এবার স্বীকার করলো ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মূলত বাণিজ্য ইস্যুতেই কথা হয়েছে। ভারতবাসীকে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়ে ট্রাম্প দাবি করেন, রাশিয়া থেকে সীমিত পরিসরে জ্বালানি তেল কেনার বিষয়ে মোদি তাকে আশ্বস্ত করেছেন। এসময় মোদিকে পরম বন্ধু বলেও আখ্যা দেন ট্রাম্প। এরপর ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জানান, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র।

হোয়াইট হাউজে প্রদীপ জ্বেলে দীপাবলি উদযাপন করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে দীপাবলি উৎসবের গুরুত্ব তুলে ধরে ট্রাম্প জানান, সকল অজ্ঞতা ও অন্ধকার দূর করবে এ প্রদীপ।

অনুষ্ঠানে হোয়াইট হাউজে উপস্থিত ছিলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। এফবিআই পরিচালক ক্যাশ প্যাটেল, মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত বিনয় মোহন কোয়াত্রা। এছাড়া ভারতীয়-আমেরিকান ব্যবসায়ী নেতাদের একটি প্রতিনিধিদলও উপস্থিত ছিলেন ৷

এসময় ট্রাম্প জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ফোনে তার কথা হয়েছে। দুই দেশের বাণিজ্য ও আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠাসহ একাধিক ইস্যুতে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে বলেও দাবি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

আরও পড়ুন:

জবাবে ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান, গণতন্ত্র রক্ষায় বিশ্বকে আশার আলোয় আলোকিত করবে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গিকারও করেন মোদি। তবে রাশিয়ার তেল কেনার বিষয়ে কি কথা হয়েছে তা স্পষ্ট করেননি মোদি।

এর আগেও ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, রুশ তেল কেনা বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত। যদিও ট্রাম্পের এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করে নয়াদিল্লি জানায়, এ বিষয়ে মোদির সঙ্গে কোনো কথা হয়নি মার্কিন প্রেসিডেন্টের। ভারতীয় গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষা করে জ্বালানি তেল সরবরাহ অব্যাহত রাখতে চায় নয়াদিল্লি। এমনকি ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বন্ধে ট্রাম্পের কৃতিত্বের দাবিও অস্বীকার করেছে ভারত।

সমুদ্রপথে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল রপ্তানির দুই শীর্ষ ক্রেতা ভারত ও চীন। এরই জেরে পহেলা নভেম্বর থেকে চীনের ওপর ১৫৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে চীনের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রাখার ইঙ্গিতও দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

এসএস