রাক্ষুসে প্রজাতির স্বাদুপানির মাছ গজার। শিকারী এ মাছের আদি নিবাস আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশে। কালের বিবর্তনে বিভিন্ন দেশে এই মাছের অস্তিত্ব কমতে থাকলেও কোনো কোনো দেশের পুকুর ও জলাশয়ে অবাধ বিচরণের কারণে হুমকিতে অন্যান্য ছোট প্রজাতির মাছ।
সাম্প্রতিক সময়ে শ্রীলঙ্কায় ব্যাপকহারে বেড়েছে স্নেকহেড মাছের বিচরণ। রাক্ষুসে এ মাছ খেয়ে ফেলছে নদী ও জলাশয়ের ছোট মাছ। তাই, গজার মাছের এ প্রজাতি নিয়ন্ত্রণে শ্রীলঙ্কার উত্তর-পশ্চিম প্রদেশের ওয়ারিয়াপোলা শহরে আয়োজন করা হয় মাছ শিকার প্রতিযোগিতার।
দেশটির মৎস্য মন্ত্রণালয়, একটি ক্লাব ও তিনটি জেলে সমিতির উদ্যোগে স্নেকহেড মাছ ধরতে আসেন হাজারও প্রতিযোগী। বড় বড় ছিপসহ মাছ ধরতে বিশেষ টোপ ব্যবহার করেন শিকারিরা।
ব্যতিক্রমী এ আয়োজনে অংশ নিয়ে খুশি শিকারিরাও। তারা জানান, আগে নদী ও জলাশয়ে দৈনিক ১৫ থেকে ২০ কেজি মাছ শিকার করতে পারলেও স্নেকহেড মাছের প্রজনন বাড়ায় মাছ সংগ্রহ নেমে এসেছে মাত্র দুই থেকে তিন কেজিতে।
আরও পড়ুন:
আয়োজকদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমরা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি কারণ আমাদের মাছ ধরার কাজ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে, আয় কমে গেছে। এর প্রধান কারণ হলো গজার মাছের সংখ্যা অত্যধিক বেড়েছে।’
প্রতিযোগীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমি ভোর ৩টা থেকে বাড়ি থেকে বের হয়েছি। নিবন্ধনের পর, প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর আমি এই মাছটি ধরেছি।’
এ প্রতিযোগিতার লক্ষ্য হল বিপুল সংখ্যক গজার মাছ ধরা এবং জলাশয় থেকে অপসারণ করা। আমরা জনগণকে এই মাছগুলিকে জলাশয়ে না ফেলার বার্তাও দিতে চাই কারণ এটি প্রচুর ক্ষতি করে।
বিপুল সংখ্যক শিকারিরা আয়োজনে অংশ নিলেও কেউই ধরতে পারেনি জলাশয়ে থাকা দৈত্যাকার গজার মাছ। যদিও প্রতিযোগিতায় ধরা পড়ে ২২টি গজার মাছ। আগামীতেও এই প্রতিযোগিতায় চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন আয়োজকরা।





