ফিলিপিন্সে ঘূর্ণিঝড়ের কবলে বাস্তুচ্যুত আড়াই হাজারের বেশি বাসিন্দা

ফিলিপিন্সে বাস্তুচ্যুত বাসিন্দারা
ফিলিপিন্সে বাস্তুচ্যুত বাসিন্দারা | ছবি: সংগৃহীত
1

সুপার টাইফুন রাগাসার ক্ষতি কাটিয়ে না ওঠতেই ঘূর্ণিঝড় বুয়ালয়ের কবলে ফিলিপিন্স। দেশটির বিভিন্ন শহরে ঝড়ের কারণে এখন পর্যন্ত প্রাণ গেছে ১০ জনের। এদিকে ডোমিনিকান রিপাবলিকের আজুয়া প্রদেশে নিম্নচাপের কারণে সৃষ্ট ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি। বাস্তুচ্যুত হয়েছে আড়াই হাজারের বেশি বাসিন্দা।

চলতি মৌসুমের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রাগাসার পর গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় বুয়ালয়ের কবলে পড়েছে ফিলিপিন্স। স্থানীয় সময় গতকাল (শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ফিলিপিন্সে আঘাত হানে বুয়ালয়।

বুয়ালয়ের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় প্লাবিত হয়েছে অনেক এলাকা। বিধ্বস্ত হয়েছে বসতবাড়ি, উপড়ে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। উপকূলবর্তী এলাকা থেকে আগেই নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হয়েছে চার লাখের বেশি বাসিন্দাকে।

ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ায় অনেকেই আশ্রয় নিয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রে। রাজধানী ম্যানিলা ছাড়াও বেশ কয়েকটি শহরে বন্ধ আছে সরকারি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে কেউ কেউ ঘরবাড়ি ছেড়ে না যাওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আরও পড়ুন:

আশ্রয়কেন্দ্রে না যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমরা প্রতিবছরই আশ্রয়কেন্দ্রে যাই। এবার আরও শক্ত বাঁধ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আপাতত আমরা এখানেই থাকবো।’

নিম্নচাপের প্রভাবে ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ের কবলে পড়েছে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দেশ ডোমিনিকান রিপাবলিকের আজুয়া প্রদেশও। স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৫০০ এর বেশি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে আড়াই হাজারের বেশি বাসিন্দাকে। জারি করা হয়েছে রেড এলার্টও।

আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা একজন বলেন, ‘আমরা যে পোশাক পড়েছিলাম তা নিয়েই চলে এসেছি। শুধু বাচ্চাদের ওষুধ সাথে নিয়ে এসেছি। আমাদের বিছানাগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা খাবার বা শোয়ার জায়গার সাহায্য চাচ্ছি না। এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হবে।’

গত সপ্তাহে সুপার টাইফুন রাগাসার আঘাতে ফিলিপিন্সের উত্তরাঞ্চলে প্রাণ যায় অন্তত ১৪ জনের, আর ১৭ জনের মৃত্যু হয় তাইওয়ানে।

এসএস