পানিতে থই থই সরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগ। এমন তুমুল একটানা বৃষ্টি সাম্প্রতিক সময়ে আর দেখেনি কলকাতাবাসী। তাও বিপাকে পড়ে চিকিৎসা নিতে আসলেও অপেক্ষাতেই সময় কাটছে রোগীদের।
মাত্র পাঁচ ঘণ্টায় ২৬৪ থেকে ৩৩২ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে। ভেসে গেছে দেড় কোটির বেশি মানুষের বসতি কলকাতার, পুরো দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চল। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় গড়িয়ার কামডহরিতে।
ভারতের জাতীয় আবহাওয়া বিভাগের তথ্য, সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের পূর্ব-মধ্যাঞ্চল ও উত্তরে সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নিম্নচাপ। এতে বৃষ্টি আরও বাড়বে বলে সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। তবে তার আগেই রেকর্ড বৃষ্টিতে স্থবির নগরী। তলিয়ে গেছে বাসাবাড়ি, দোকানপাট।
এক অধিবাসী বলেন, ‘গতকাল রাত ১২টা থেকে এতো পানি উঠেছে যে ভাবতেও পারছি না। ৩টায় ঘুম ভেঙে দোকানের মালপত্র সরিয়েছি। সব ডুবে গেছে।’
আরেক অধিবাসী বলেন, ‘ওই দোকান, এই দোকান, সবগুলোর ক্ষতি হয়েছে। গাড়িগুলো সব পানিতে ডুবে গেছে। সব নষ্ট হয়ে গেছে।’
ভারী বৃষ্টি আর বজ্রসহ ঝড়ের আভাসের মধ্যেই বাতিল হয়েছে অসংখ্য ফ্লাইট। ডুবে গেছে কলকাতা বিমানবন্দরের টারম্যাক। যাত্রীদের জন্য ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগোসহ বিভিন্ন বিমান সংস্থা। টানা বৃষ্টিতে ব্যাহত রেলসেবা। যাত্রীদের সুরক্ষায় কয়েকটি এলাকায় মেট্রো পরিষেবাও সাময়িক বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রবল জলাবদ্ধতার মধ্যে বিদ্যুতায়িত হয়ে প্রাণ যায় কয়েকজনের।
দুর্গা পূজার দু'দিন আগে এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে যুদ্ধকালীন তৎপরতা শুরু করেছে প্রশাসন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে খুলে দেয়া হয় গঙ্গা নদীর সবগুলো লকগেট। নির্ধারিত সময়ের আগেই পূজার ছুটি দিয়ে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে নগরীর সব সরকারি স্কুল।





