মাঠের যুদ্ধ বন্ধ হলেও বিজয় দাবিতে ভারত-পাকিস্তান প্রচার যুদ্ধ চলছে

ভারতীয় সেনা সদস্য
ভারতীয় সেনা সদস্য | ছবি: সংগৃহীত
0

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১০ মে বিকেলে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ বন্ধ হলেও, প্রায় ৪ দিনের লড়াইয়ে উভয় পক্ষের বিজয় দাবিতে চলছে প্রচার যুদ্ধ। এ অবস্থায় বিশ্লেষকরা বলছেন, কাশ্মীরকে আন্তর্জাতিক ইস্যুতে রূপান্তর এবং এটি নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনার সুযোগ করে দিয়েছে পাকিস্তান। অন্যদিকে, যুদ্ধবিরতির ফলে মোদি সরকার রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

পেহেলগাম ইস্যুতে টানা চারদিন তীব্র সামরিক সংঘাতের পর গত ১০ মে বিকেলে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় ভারত ও পাকিস্তান। চূড়ান্ত যুদ্ধের দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরে আসার চার দিন পেরিয়ে গেছে। তবুও উভয়পক্ষই নিজেদের বিজয়ী দাবি করে চালিয়ে যাচ্ছে প্রচার যুদ্ধ।

এ অবস্থায় এ সামরিক সংঘাতে উভয়ে কিছু কৌশলগত সাফল্য পেলেও, তাদের ব্যাপক ক্ষতিও হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কিংস কলেজ লন্ডনের সিনিয়র প্রভাষক ওয়াল্টার ল্যাডউইগ বলেন, সাম্প্রতিক সংঘাত পাকিস্তানকে বহুদিনের একটি কৌশলগত লক্ষ্য, কাশ্মীরকে আন্তর্জাতিক ইস্যুতে রূপান্তর এবং বাস্তবায়নের সুযোগ করে দিয়েছে।

ইসলামাবাদ যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের মধ্যস্থতাকে স্বাগত জানিয়েছে এবং যুদ্ধবিরতিকে তারা বাইরের হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

অন্যদিকে, তিনি এও বলেন, ভারতকে এই যুদ্ধবিরতিতে যেতে হয়েছে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে, যা তাদের নিজস্ব নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তাই মোদি সরকার কিছু অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দিক দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ২২ এপ্রিল পেহেলগামে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী হামলার পর সংঘাত উত্তেজনার মধ্য দিয়ে ভারত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর দিকে ফেরানোর ক্ষেত্রে কিছুটা কৌশলগতভাবে জয় পেয়েছে বলেও মনে করা হয়।

এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ম্যাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. মোহাম্মদ শোয়েব বলেন, টেকসই শান্তির জন্য দু'দেশর মধ্যে নিয়মিত সংলাপ অপরিহার্য। ভারত-শাসিত কাশ্মীর ও অন্যদিকে পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর শান্তি বজায় রাখা নির্ভর করবে বলেও মনে করেন তিনি।

এরমধ্যেই জম্মু-কাশ্মীরের অবন্তিপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকধারীদের তীব্র গোলাগুলিতে ৩ সন্ত্রাসী নিহতের দাবি ভারতের। এছাড়া ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্যের চান্দেল জেলায় আসাম রাইফেলসের সদস্যদের গুলিতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে বলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ড দাবি করা হচ্ছে।

এএইচ