সংক্রান উৎসবে মেতেছে থাইল্যান্ডের হাজার হাজার মানুষ

থাইল্যান্ডে সংক্রানে নতুন বছরের সূচনা, পানিযুদ্ধে মাতোয়ারা স্থানীয়রা
থাইল্যান্ডে সংক্রানে নতুন বছরের সূচনা, পানিযুদ্ধে মাতোয়ারা স্থানীয়রা | এখন টিভি
0

পরিচ্ছন্নতা, এরপর নতুন সূচনা। এই উদ্যমে থাইল্যান্ডে চলছে পানি যুদ্ধ হিসেবে পরিচিত থাইল্যান্ডের সবচেয়ে বড় উৎসবগুলোর একটি ‘সংক্রান’। রাজধানী ব্যাংককে এই উৎসবে অংশ নিয়েছেন শত শত মানুষ। থাই ঐতিহ্য অনুযায়ী, নতুন কৃষি বর্ষের সূচনা হবে এই উৎসবের মধ্য দিয়ে।

এ যেন পানির যুদ্ধ। আনন্দে উন্মত্ত হাজার হাজার তরুণ-তরুণী একে অন্যের দিকে তাক করে রেখেছেন বন্দুক। তবে যুদ্ধের ময়দানের গুলি ভর্তি বন্দুক নয়, প্লাস্টিকের ওয়াটার গান দিয়ে ছোঁড়া হচ্ছে পানি।

থাই নববর্ষ উপলক্ষে প্রতিবছর রাজধানী ব্যাংককসহ থাইল্যান্ড জুড়ে উদযাপন করা হয়ে থাকে 'সংক্রান' বা 'সংক্রান ফেস্টিভাল' নামে ঐতিহ্যবাহী এই পানি ছোঁড়ার উৎসব। এদিন রাজধানীর খাওসান রোডে পানি ছিটিয়ে নেচে গেয়ে উৎসবে মাতেন তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষ।

উৎসবে অংশ নেয়া ব্যক্তিদের মধ্যে থেকে একজন বলেন, ‘প্রস্তুতি নিয়ে এসেছি, আমার কাছে চারটি ওয়াটার গান আছে। সুরক্ষার জন্য চশমা আর টুপিও আছে। সঙ্গে ওয়াটার প্রুফ ফোনও আছে।’

মার্চে প্রতিবেশি মিয়ানমারসহ থাইল্যান্ডে ভয়াবহ ভূমিকম্পের কয়েক সপ্তাহ না যেতেই আয়োজন করা হয় এবারের উৎসব। যে কারণে ভিড়ের মধ্যেও এক ধরনের চাপা আতঙ্ক ছিল জনমনে। তবে দেশের বাইরে থেকে আসা বিপুল সংখ্যক পর্যটকদের উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। সূর্যের খরতাপে পানি ছিটিয়ে শীতল হয়ে নিচ্ছিলেন তারা।

স্থানীয় একজন বলেন, ‘এখানে যে আসে, সেই জানে এই দেশে কোনো সমস্যা নেই। যে আসেনি, সেই থাইল্যান্ডকে ভয় পায়। যতক্ষণ আপনি সুরক্ষিত, আপনার ভয় নেই।’

স্থানীয় অন্য একজন বলেন, ‘অনেক মজা লাগছে। নেদারল্যান্ডসে এত আনন্দ করতে পারিনি। ভাবতেই পারিনি এত আনন্দ হবে। পানি খুব ভালোবাসি।’

থাইল্যান্ডের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের পরও ২০২৫ সালে রেকর্ড তিন কোটি ৮০ লাখ পর্যটক সমাগমের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকার বলছে, ভূমিকম্পের প্রভাব দেশের পর্যটন খাতে খুব একটা বেশি না। এই উৎসবের মধ্য দিয়ে দেশটিতে শুষ্ক মৌসুম শেষ হয়ে নতুন কৃষি মৌসুম শুরু হয়। কয়েকদিনব্যাপী চলা এই উৎসব এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় পানি ছোড়ার উৎসব। যার মানে পরিচ্ছন্নতার পর নতুন সূচনা। উৎসব চলবে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত।

এসএস