‘বিজেপি নেতারা একটি বিশেষ ধর্মকে বিক্রি করে খাচ্ছে’

এশিয়া
বিদেশে এখন
0

বিজেপি নেতারা একটি বিশেষ ধর্মকে বিক্রি করে খাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভায় দেয়া বক্তব্যে মমতা আরও অভিযোগ করেন, বিজেপির চূড়ান্ত অব্যবস্থাপনার জেরে এবারের মহাকুম্ভ মেলায় অর্ধশতাধিক পুণ্যার্থীর প্রাণ গেছে। যদিও মমতার এই বক্তব্যকে হিন্দুত্ববাদের অপমান হিসেবে দেখছে রাজ্যের প্রধান বিরোধীদল বিজেপি।

গেল ২৯ জানুয়ারি ভারতের উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে হিন্দু পুণ্যার্থীদের সবচেয়ে বড় সমাবেশ মহাকুম্ভ মেলায় পদপিষ্ট হয়ে নিহত হয় অন্তত ৪০ জন। গেল শনিবার নয়াদিল্লি স্টেশনে ধাক্কাধাক্কিতে প্রাণ যায় আরও ১৮ পুণ্যার্থীর। এমনকি এখনও উদ্ধার হয়নি জানুয়ারিতে পদপৃষ্ঠ হয়ে নিহত ৩০ জনের মরদেহ। এছাড়া, অন্তত ৮ বার আগুন লেগেছে ভক্তদের তাবুতে।

অব্যবস্থাপনার এই জলজ্যান্ত নজির সামনে এনে বিধানসভায় বিজেপিকে তুলোধুনো করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানিয়েছেন, মহাকুম্ভের হাইপ তুলে পুণ্যার্থীদের মৃত্যুকূপে ঠেলে দিয়েছে বিজেপি। মমতা আরও অভিযোগ করেন, সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে সামনে রেখে মোদি সরকার টাকা কামানোর কুৎসিত প্রতিযোগিতায় নেমেছেন।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কোনো প্ল্যানিং না করে শুধু হাইপ তুলে এত লোকের মৃত্যু। বললেন ত্রিশজন কথাটা কি সঠিক? কত ডেড বডি ভাসিয়ে দিয়েছেন নদীতে?’

মহাকুম্ভকে ‘মৃত্যু কুম্ভ’ বলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চটেছেন অন্ধ্র প্রদেশের ভারপ্রাপ্ত মুখ্যমন্ত্রী পবন কল্যাণ। তেলেগু সিনেমার জনপ্রিয় এই অভিনেতা অভিযোগ করেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে তাচ্ছিল্য করেছেন পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আর বিধানসভা থেকে সদ্য বহিষ্কৃত রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের নেতা ও বিজেপি সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, হিন্দু শব্দটি উচ্চারিত হলেই মমতার সরকার আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।

অন্ধ্র প্রদেশের ভারপ্রাপ্ত মুখ্যমন্ত্রী পবন কল্যাণ বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যায্য মন্তব্য করেছেন। হিন্দুদের এত বড় জমায়েত, পুণ্যার্থীর সমাগম-আমাদের রাজনীতির সবচেয়ে নোংরা দিক সনাতন ধর্মের বিষয়ে প্রশ্ন তোলা।’

শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘উনি আতঙ্কিত হিন্দু শব্দে,উনি আতঙ্কিত তোষণের শব্দে, উনি আতঙ্কিত মা সরস্বতী, দুর্গা, কালীর নামে।’

শুধু পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় নয়, মহাকুম্ভ মেলার অব্যবস্থাপনা পরিণত হয়েছে জাতীয় ইস্যুতে। উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্য নাথ সরকারের সাথে মিলছে না হতাহতের সংখ্যা। মরদেহ উদ্ধার ও মৃতের সংখ্যা নথিভুক্ত করতে গড়িমসি করায় প্রশ্ন তুলছে বিরোধী শিবির।

এএম