বিহারের প্রথম জেন-জি বিধায়ক সংগীতশিল্পী মৈথেলী ঠাকুর

বিধায়ক মৈথেলী ঠাকুর
বিধায়ক মৈথেলী ঠাকুর | ছবি: সংগৃহীত
0

প্রতিদ্বন্দী প্রবীণ প্রার্থী বিনোদ মিশ্রকে ১১ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে ভারতের বিহারের আলিনগরের সবচেয়ে কম বয়সী ও প্রথম জেনজি বিধায়ক নির্বাচিত হলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মৈথেলী ঠাকুর। সংগীত অঙ্গনে সাফল্য পেতে বেশ কষ্ট পেলেও, নিজের গান ও সাবলীল ব্যবহারের কারণে মাত্র এক মাসের প্রচারণায় ভক্তদের মনে দারুণ প্রভাব ফেলেন বিজেপির এই তরুণ তুর্কি। একারণে ভোটে জেতার পর ভক্ত-সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মৈথেলী । প্রতিশ্রুতি দেন আলিনগরের মানুষের উন্নয়নে কাজ করে যাওয়ার।

নির্বাচনি জনসভায় এভাবে গান গেয়ে ভক্ত-সমর্থকদের মনে জায়গা করে নেন বিহারের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মৈথেলী ঠাকুর। যার প্রতিদান দিতে ভুলেননি আলিনগর বিধানসভার ভোটাররা। ভারতের শাসক দল বিজেপির টিকিটে প্রথমবার নির্বাচনে অংশ নিয়েই বাজিমাত করলেন তিনি। রাষ্ট্রীয় জনতা দল আরজেডির প্রবীণ প্রার্থী বিনোদ মিশ্রকে ১১ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে বিহারের সবচেয়ে কম বয়সী ও প্রথম জেনজি বিধায়ক ২৫ বছর বয়সী মৈথেলী ঠাকুর।

বিধায়ক মৈথেলী ঠাকুর বলেন, ‘এটি শুধু আমার না, যারা আমাকে ভোট দিয়েছে তাদের সবারই বিজয়। আর কিছু বলতে পারছি না। বিজয়ের মুহূর্তটি উপভোগ করছি।’

এক মাস আগেও বিহারের রাজনৈতিক অঙ্গনে অচেনা ছিলেন মৈথেলি। আলিনগরের বিতর্কিত বিজেপি বিধায়ক মিশ্রি লাল যাদবকে মনোনয়ন না দিয়ে এবার সবাইকে চমকে দিয়ে আসনটিতে পদ্মফুলের প্রার্থী হিসেবে মৈথেলীকে বেছে নেয় বিজেপি। বিশ্লেষকদের ধারণা, তরুণদের মন জয়েই এ সিদ্ধান্ত নেয় গেরুয়া শিবির। এছাড়া ভোজন সংগীতের জন্য বিহারের জনগণের মধ্যেও দারুণ প্রভাব আছে মৈথেলীর।

আরও পড়ুন:

নির্বাচনি প্রচারণার সময় তরুণদের ব্যাপক সাড়া পান মৈথেলি। কিন্তু ঐতিহাসিক আলিনগরের নাম পরিবর্তন করতে চাওয়ায় বিতর্কের মুখেও পড়তে হয় তাকে। যদিও নির্বাচনি প্রচারের সময় এ বিষয়ে বেশ কৌশলী উত্তর দেন মৈথেলি।

বিহারের মাধুবনীতে ২০০০ সালে একটি সংগীত অনুরাগী পরিবারে জন্ম নেন মৈথেলি। তার বাবা রমেশ ঠাকুর একজন শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী। বাবার কাছেই সংগীতে হাতেখড়ি তার। সঙ্গীত চর্চার জন্য বেশ দুর্ভোগও পোহাতে হয়েছে রমেশ ও তার পরিবারকে। নিয়মিত সংগীত অনুশীলনের কারণে আশেপাশের বাসিন্দাদের সমস্যা হওয়ায় প্রায় ১৬ বার বাড়ি পাল্টাতে হয়েছে ঠাকুর পরিবারকে।

এছাড়া, মৈথেলির সংগীত ক্যারিয়ারে ব্যর্থতার গল্পও বেশ ভারি । বারবার চেষ্টার পরও ভারতের জনপ্রিয় মিউজিক রিয়েলিটির শোগুলোর মূল পর্বে জায়গা মেলেনি তার। তবুও দমে যাননি তিনি। সবশেষে সাফল্য ধরা দেয় ২০১৭ সালে রাইজিং স্টারের মঞ্চে। ফাইনালে মাত্র ২ ভোটের ব্যবধানে হেরে রানার্স আপের খেতাব পান মৈথেলি। এরপর আর পেছনে ফিরে থাকাতে হয়নি তাকে। লোক ও ভোজন সংগীত পরিবেশনের জন্য মৈথেলি সম্প্রদায়ের কাছে ব্যাপক খ্যাতি পান এ তরুণ তুর্কি।

এফএস