এশিয়া
বিদেশে এখন
0

বিমান দুর্ঘটনার স্থানকে বিশেষ দুর্যোগ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা দক্ষিণ কোরিয়ার

দক্ষিণ কোরিয়ায় উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় দেশজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। উদ্ধার করা হয়েছে দু'টি ব্লাক বক্স। দুর্ঘটনা স্থলটিকে বিশেষ দুর্যোগ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। এছাড়া আহত ও নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে দেয়া হবে সহায়তা। এদিকে আজারবাইজানের যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটি রাশিয়া গুলি করে ভূপাতিত করেছে বলে দাবি করেছেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট।

বিশ্বব্যাপী যখন নতুন বছর বরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন দক্ষিণ কোরিয়ায় নেমেছে শোকের ছায়া। মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় দেশজুড়ে চলছে শোকের মাতম।

৬৩ বছর বয়সী কোরিয় নাগরিক ইম ইয়ং হক নামের প্রবীণ মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশেই ২০ বছর ধরে রেস্তোরাঁ চালাচ্ছেন। তিনি জানান, উড়োজাহাজটি বিস্ফোরণের মুহূর্তের সেই ভয়ংকর পরিস্থিতির কথা।

ইম ইয়ং হক বলেন, 'হঠাৎ আমি একটি বিস্ফোরণ শুনতে পেলাম। প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো কোনো তেলের ট্যাঙ্কারের শব্দ। বাইরে গিয়ে দেখলাম অনেক ধোঁয়া। এরপর অন্তত সাতবার বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছি। আমি অনেক ব্যথিত।'

শুধু এই রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীর নয়, বিমান দুর্ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়ার বাসিন্দাদের মাঝেও নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

স্থানীয় একজন বলেন, 'আমরা অনেক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে যাচ্ছি। সরকার তার দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করতে পারে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। এরমধ্যে এই দুর্ঘটনা খুব দুঃখজনক, আমার খারাপ লাগছে।'

দক্ষিণ কোরিয়ায় বসবাসকারী একজন বলেন, 'আমরা সম্প্রতি ব্যাংকক থেকে ঘুরে কোরিয়াতে ফিরেছি, এটি আসলেই হৃদয়বিদারক ঘটনা।'

এদিকে দুর্ঘটনার পর এলাকাটিকে বিশেষ দুর্যোগ অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মোক। দুর্ঘটনাস্থল পরির্দশন শেষে সিউলে জরুরি বৈঠকে, নিহতদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।

চোই সাং-মোক বলেন, 'যারা জীবন হারিয়েছেন তাদের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা। আমিও গভীরভাবে দুঃখবোধ করছি। প্রিয়জন হারানো পরিবার এবং আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য সহায়তা প্রদান করবো।'

এদিকে গেল সপ্তাহে কাজাখস্তানে আজারবাইজানের যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় রাশিয়াকে দায়ী করেছেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেয়া বক্তব্যে তার দাবি , ইচ্ছাকৃত না হলেও ভুল করে উড়োজাহাজটি করে ভূপাতিত করেছে রাশিয়া।

আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট বলেন, 'অবশ্যই, ব্ল্যাক বক্স পরীক্ষা করার পরে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে। বিমানটি রাশিয়ার ভূখণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাশিয়াকে আজারবাইজানের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তার অপরাধ স্বীকার করতে হবে। দায়ীদের অবশ্যই শাস্তি দিতে হবে, আহত যাত্রী ও ক্রুদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।'

গেল বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) আজারবাইজানের রাজধানী বাকু থেকে রাশিয়ার গ্রোজনিতে যাওয়ার পথে কাজাখস্তানের আকতাউ বিমানবন্দরের কাছে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ হারাণ ৩৮ জন।

এসএস