ইন্দোনেশিয়ায় ফ্লোরেস দ্বীপের লেওটোবি লাকি-লাকি আগ্নেয়গিরি। গেল কয়েকদিন থেকে উত্তপ্ত এই আগ্নেয়গিরি। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১ হাজার ৭০৩ মিটার উঁচু এই আগ্নেয়গিরিতে চলছে অগ্ন্যুৎপাত।
দূর থেকে প্রকৃতির এই সৌন্দর্য মুগ্ধ করলেও এর ভয়াবহতা অনেক তীব্র। আগ্নেয়গিরির আগুন ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের কয়েকটি গ্রামে। পুড়ে গেছে অসংখ্য বাড়িঘর।
দেশটির দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা জানায়, অগ্ন্যুৎপাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ১০ হাজার ২৯৫ জন। নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে ৬ হাজার বাসিন্দাকে। আগ্নেয়গিরির সাত কিলোমিটার এলাকজুড়ে জারি করা হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা ব্যবস্থা। বন্ধ রাখা হয়েছে ফ্লোরেস দ্বীপের চারটি ছোট বিমানবন্দর।
আমরা হতবাক হয়ে ঘুম থেকে উঠে দৌঁড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসি। আমি শুধু একটি টি-শার্ট এবং স্যান্ডেল নিয়ে চলে আসি বাড়ি থেকে আর কিছু আনতে পারেনি।
আমরা নাওয়াকোট গ্রাম থেকে ১শ জনেরও বেশি বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়েছি, বাকিদের উদ্ধারে কাজ চলছে। আমরা তাদের দুটি পরিবহনে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিয়েছি।
এদিকে, প্রবল বৃষ্টির কারণে লাভা স্রোতের আশঙ্কা রয়েছে। ছাই থেকে সুরক্ষা পেতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাস্ক পরার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রশান্ত মহাসাগরের রিং অব ফায়ার'-এর অংশ হওয়ায় ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ও ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে।
এদিকে, ক্যালিফোর্নিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের বনাঞ্চলে এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি দাবানল। বাতাসের তীব্র বেগে দাবানলে পুড়ে গেছে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি। আশেপাশের এলাকাগুলোতেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে দাবানল।
ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি ও কৃষি জমি। নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে প্রায় ১০ হাজার বাসিন্দাকে।