আন্দামান সাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি বঙ্গোপসাগরে আরও শক্তি সঞ্চয় করে পরিণত হতে যাচ্ছে শক্তিশালী সাইক্লোনে। যার নাম দেয়া হয়েছে দানা। ঝড়ের প্রভাবে এরইমধ্যে বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করছে দুই রাজ্যে। পুরি আর সাগর দ্বীপের মাঝ দিয়ে ঘুর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম করবে।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ঘূর্ণিঝড়ের সময় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। সাইক্লোনের পূর্বাভাসে প্রতিবেশী দুই রাজ্যে ভারি মৌসুমি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
ওড়িশা আর পশ্চিমবঙ্গের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার। ওড়িশা রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের ১০ লাখ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। স্থাপন করা হয়েছে ৫ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ওড়িশার ১৪ জেলায় ৩ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে স্কুল, কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয়। দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় শতাধিক ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে।
অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে ৪ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে স্কুল।
ভারতীয় কোস্টগার্ডকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশনা। উপকূলীয় এলাকা থেকে ট্রলার আর মাছ ধরার নৌকা নিরাপদে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনিপুর, বাঁকুরা, ঝাড়গ্রাম আর হুগলি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, ওড়িশার বালাশোর, ভদ্রক, কেন্দ্রপাড়া আর পুরি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ওড়িশায় এরমধ্যেই ত্রাণ পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়েছে বিমান বাহিনী।
এছাড়াও সমুদ্র উপকূলের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে সাধারণ মানুষ ভিড় করলেও তাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কোস্টগার্ড।