এশিয়া
বিদেশে এখন
0

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যান্টি-অ্যাম্ফিবিয়াস ল্যান্ডিং মিসাইল দিয়ে মহড়া দিচ্ছে তাইওয়ান

যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেনা অ্যান্টি-অ্যাম্ফিবিয়াস ল্যান্ডিং মিসাইল নিয়ে মহড়ায় নেমেছে তাইওয়ান। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী এ ক্ষেপণাস্ত্র চীনের বিশাল সামরিক শক্তির বিপরীতে সবচেয়ে কার্যকরী বলে মত সমরাস্ত্রবিদদের।

একইসঙ্গে তাইওয়ান প্রণালি, চীন আর প্রশান্ত মহাসাগরমুখী তাইওয়ানের দক্ষিণ প্রান্ত। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ অঞ্চলেই সোমবার (২৬ আগস্ট) দু'দিনের বার্ষিক সামরিক মহড়া শুরু করে তাইপে।

এবারের মহড়ায় সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সংযোজন অ্যান্টি-অ্যাম্ফিবিয়াস ল্যান্ডিং মিসাইলস, যা বিশ্বের সবচেয়ে কার্যকরী ও জনপ্রিয় ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। টো-টুএ নামে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত এসব ক্ষেপণাস্ত্র চীনের সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতে তাইওয়ানের সেরা কৌশল বলে মনে করছেন অনেকে।

তাইওয়ানের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ চ্যাং ইউ-ইহ বলেন, 'বার্ষিক তিয়েন মা মহড়া সকল বাহিনী ও সেনা কর্মকর্তাকে গুলি চালানোতে দক্ষ করে তো তোলেই, একইসঙ্গে অস্ত্রচালনায় নিরাপত্তাও নিশ্চিত করে এবং সশ্লিষ্টদের অভিজ্ঞতার ঝুলি সমৃদ্ধ করে।'

যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সবশেষ আরও নতুন টো-টুবি সিস্টেমের ১ হাজার ৭০০ ইউনিট কিনেছে তাইওয়ান, যার শেষ চালান দ্বীপদেশটিতে পৌঁছাবে বছরের শেষে। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) শেষ হতে যাওয়া মহড়ায় টো-টুএ'র সঙ্গে মিলিয়ে টো-টুবি'র কার্যক্ষমতা ও রাতের অন্ধকারে লক্ষ্যে আঘাত হানার সক্ষমতাও পরীক্ষা করবে তাইওয়ানের সেনাবাহিনী।

চীনের বিশাল সামরিক শক্তির বিপরীতে টো-টু'র মতো দ্রুতগতির ও প্রাণঘাতী সমরাস্ত্র রণক্ষেত্রে টিকে থাকার সেরা উপায় বলে মত সমরাস্ত্রবিদদের। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় সেনাসদস্য চীনের। তাইওয়ানের বড় একটি অংশ খাড়া পাহাড়, মেটে সমতল আর আকাশছোঁয়া সব ভবনে অত্যাধুনিক নগরাঞ্চল বলে চীনা সেনাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত যুদ্ধাস্ত্রের উপযোগিতা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।

তাইওয়ানের কমান্ড ক্যাপ্টেন চেন ওয়েই-ইউয়েন বলেন, 'পুরোনো ও আধুনিক ফায়ারিং সিস্টেমের সবচেয়ে বড় পার্থক্য হলো, দিন ও রাতে হামলার মধ্যে সমন্বয় করে এটি এবং এর অ্যাক্টিভ লেজারও রয়েছে। ১০ কিলোমিটার দূরেও ভালো দেখা যায়, ট্র্যাকিং গেটের মাধ্যমে সহজে লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারে শ্যুটার এবং লক্ষ্যবস্তুতে সফল আঘাতের হার বাড়ে।'

স্বায়ত্তশাসিত তাইওয়ানকে নিজেদের বলে দাবি করে চীন এবং প্রয়োজনে সামরিক শক্তিপ্রয়োগের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে আনারও দাবি করে তারা। দ্বীপদেশটির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নাগরিকদের ভীতি প্রদর্শন ও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় প্রায় প্রতিদিন তাইওয়ানের আকাশ ও জলসীমায় যুদ্ধবিমান আর রণতরি পাঠায় বেইজিং। প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র আর ডুবোজাহাজ আমদানির মাধ্যমে প্রতিরক্ষা শক্তি বাড়াচ্ছে তাইপে।

১৯৪৯ সালের গৃহযুদ্ধে চীনা ভূখণ্ড থেকে আলাদা হয়ে গণতন্ত্র ও স্বায়ত্তশাসন চালু করে তাইওয়ান। দেশটির বেশিরভাগ নাগরিক চীনবিরোধী এবং স্বাধীনতাপন্থি।

tech

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর