আরজি কর হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনায় উত্তাল হয়ে আছে ভারত। পশ্চিমবঙ্গবাসীর সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন স্থানে নামেন হাজারও মানুষ। মোমবাতি প্রজ্বলনের পাশাপাশি মধ্যরাতে রাজপথে মিছিল করেন হাজারও নারী।
স্থানীয় একজন নারী বলেন, '১৪ আগস্টে চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফদের ওপর হামলার দায় নেবে কে? কর্তৃপক্ষের কাছে এর লিখিত জবাবদিহিতাসহ লিখিত ক্ষমা চাই। আমাদের সহকর্মী চিকিৎসককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। হাসপাতালে চালানো তাণ্ডব চালানো হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই। চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় আইন প্রণয়ন করতে হবে।'
দিন যতই গড়াচ্ছে, মমতার সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে। হাসপাতালে দুষ্কৃতকারীদের ভাঙচুরের প্রতিবাদে বামদলগুলোর ডেকেছে ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে রাজ্যজুড়ে অবরোধ ও কর্মবিরতির কর্মসূচি পালন করছে বিজেপি। জরুরি নয় এমন সকল সেবা ২৪ ঘণ্টার জন্য স্থগিত করেছে ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন।
বিরোধীদের আন্দোলন দমনে বদ্ধপরিকর ১৩ বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় থাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কর্মবিরতি মোকাবিলায় শুক্রবার রাজ্যের সকল সরকারি কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর নবান্ন। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে স্টেট ট্রান্সপোর্ট অথরিটির সচিবকে। চিকিৎসককে হত্যায় অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবিতে কর্মসূচি রয়েছে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের।
বুধবার (১৪ আগস্ট) মধ্যরাতে আরজি কর হাসপাতালে হামলার ঘটনায় আরও কয়েকজনকে আটক করেছে রাজ্য পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, রাম অর্থাৎ বিজেপি ও বামদলগুলোর প্ররোচনায় হাসপাতালে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে বহিরাগতরা। ঘোলা জলে মাছ শিকার করতে চাইছে বিরোধীরা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমি ছাত্রছাত্রীদের কোনো দোষ দিচ্ছি না। বহিরাগত কিছু রাজনৈতিক লোক যারা বাংলায় অশান্তি করতে চান তারা সংগঠিত হয়ে এই গন্ডগোল করেছে।'
চিকিৎসক নিহতের ঘটনা তদন্তে হাসপাতালের নতুন অধ্যক্ষের পাশাপাশি কয়েকজন কর্মকর্তা, চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীকে তলব করে গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই।