শুধু তাই নয়, এই খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের আয়ও বাড়বে বলে আশা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে প্রথম টাইগার সাফারি পার্ক তৈরি হয় শিলিগুড়িতে। এবার রাজ্যের দ্বিতীয় টাইগার সাফারি হতে যাচ্ছে কলকাতার অদূরে ঝাড়গ্রামে। এ লক্ষ্যে এরইমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে চিড়িয়াখানার পাশে থাকা ৬৪ একর জমি।
টাইগার সাফারি চালু হলে ঝাড়গ্রামের পর্যটন শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ হবে। এমনকি এখানে আগত পর্যটকদের সংখ্যাও বাড়বে, সৃষ্টি হবে নতুন নতুন কর্মসংস্থান। জমজমাট হবে পর্যটন খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসা। আর এরমধ্য দিয়ে ঝাড়গ্রাম তথা গোটা রাজ্যের পর্যটন শিল্পের অভাবনীয় উন্নতি হবে বলে প্রত্যাশা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, ‘আরও পর্যটক আকর্ষণের জন্য ঝাড়গ্রাম চিড়িয়াখানার উল্টো দিকে থাকা ৬৪ একর জমিতে টাইগার সাফারি চালু করা হবে।’
মমতার এমন ঘোষণায় ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে বইছে আনন্দের জোয়ার বইছে।
স্থানীয় এক অধিবাসী বলেন, ‘সাফারি পার্কের জন্য আমাদের যে জমি রয়েছে তা ওনার হাতে বুঝিয়ে দিব। এখানে ফরেস্ট ও আরও রেঞ্জ অফিসার আছেন। তাদের সঙ্গে মিলে সব দেখে নেয়া হচ্ছে।’
আরেক অধিবাসী বলেন, ‘নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে আমাদের যে-সব হোমস্টে আছে সেগুলো পরিপূর্ণ থাকে। নতুন করে সাফারি পার্ক তৈরি হলে আরও পর্যটক আসবে। এর মাধ্যমে ঝাড়গ্রামের মানুষের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরও দৃঢ় হবে।’
ঝাড়গ্রাম ঘুরে ঘুরে পর্যটকরা যেন বাঘ দেখার সুযোগ পান সে লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। ব্যয় ধরা হয়েছে অন্তত ১০ কোটি রুপি।