জলবায়ু পরিবর্তনে ভারতের কোনো কোনো স্থানে অতিরিক্ত বৃষ্টি হচ্ছে, কোনো স্থানে আবার সাধারণ সময়ের তুলনায় কম হচ্ছে। শুক্রবার (২৮ জুন) দিল্লির সাফদারজংয়ে মাত্র এক ঘণ্টায় ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। যা পুরো জুনের মোট বৃষ্টিপাতের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি। টানা বৃষ্টি আর জলাবদ্ধতায় নাকাল জনজীবন।
রোববারও ৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। শুক্রবার মাত্র কয়েক ঘণ্টায় রেকর্ড ২২৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয় দিল্লিতে। সৃষ্টি হয় বন্যার। ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। বন্যায় নিহতদের পরিবারের জন্য ১০ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে দিল্লি সরকার।
দিল্লিতে মঙ্গলবার পর্যন্ত ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার ভারি বৃষ্টি হয়েছে গুজরাট ও রাজস্থানে। এ অঞ্চলে আরও ৪ থেকে ৫ দিন বৃষ্টি হতে পারে। একই পরিস্থিতি থাকবে মহারাষ্ট্রে।
রোববার তামিল নাড়ু, কেরালা আর কর্ণাটকে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। তেশরা জুলাই পর্যন্ত হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশেও বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। জম্মুতে অতিবৃষ্টিসহ ভূমিধসের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। ভারি বৃষ্টির আশঙ্কায় উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে লাল সতর্কতা দেয়া হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা, মনিপুর আর মিজোরামে ৪ জুলাই পর্যন্ত ভারি বৃষ্টি হবে। বৃষ্টির কারণে ভূমিধ্বসে অরুণাচল প্রদেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বেড়ে প্রবেশ করেছে আসামের কাজিরাঙা ন্যাশনাল পার্ক আর টাইগার রিজার্ভে। আসামে রোববার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতে ২ লাখ ৬২ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ব্রহ্মপুত্রসহ ৫ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। বন্যা, ভূমিধস আর ঝড়ে এখন পর্যন্ত ৪৪ জনের প্রাণ গেছে।
অতিরিক্ত বৃষ্টিতে দিল্লিতে ব্যাহত হয়েছে বিমান চলাচল। এতো ভারি বৃষ্টিপাতের পরও ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, চলতি বছরের জুনে সাধারণ সময়ের চেয়ে ১১ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে। কিছুদিন আগেও তীব্র তাপপ্রবাহে নাকাল ছিলো ভারতের বিভিন্ন রাজ্য।