বন্যা-ও-জলাবদ্ধতা
ভারতে টানা বর্ষণে বিপর্যস্ত জনজীবন
ভারতের নয়াদিল্লিসহ বিভিন্ন শহরে টানা বৃষ্টিপাতে বিপর্যস্ত জনজীবন। জলাবদ্ধতার কারণে শহরের রাস্তায় চলছে নৌকা। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট বসতবাড়ি। নয়াদিল্লিতে হঠাৎ ভারি বৃষ্টিপাতে প্রাণ গেছে ১১ জনের। দিল্লিতে ভারি বৃষ্টিপাত আরও ২ দিন থাকার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। যদিও আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, সাধারণ সময়ের তুলনায় জুনে ১১ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে ভারতে। এদিকে বন্যায় ব্রহ্মপুত্রসহ কয়েকটি নদীর পানি বেড়ে বিপর্যস্ত আসামের মানুষ।
বন্যা নিয়ন্ত্রণে বিপুল অর্থ ব্যয়ের পরেও স্বস্তি মিলছে না কেন?
একটি বন্যা, হাজারো মানুষের করুন গল্পের নতুন তথ্য। এমনকি ওলট-পালট করে দেয় রাষ্ট্রের অর্থনীতির হিসেব নিকেষকেও। পাল্টে দেয় জলবিদ্যার কৃষি, পুরকৌশল ও জনস্বাস্থ্যের সকল উপাত্তকে। সময় যত যাচ্ছে বন্যার প্রকোপ ততই বাড়ছে বাংলাদেশে। সমানুপাতিক হারে বাড়ছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করছে বন্যা নিয়ন্ত্রণে। তারপরও মিলছে না স্বস্তি। কেন এমন পরিণতি? এর সমাধানই বা কি?
সিলেটের চার জেলায় পানিবন্দি ১৮ লাখের বেশি মানুষ
উজানের ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে অপরিবর্তিত রয়েছে সুনামগঞ্জ, সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের বন্যা পরিস্থিতি। বন্যা কবলিত এলাকায় এখনও বৃষ্টি থামেনি। এতে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। এই চার জেলায় পানিবন্দি রয়েছে ১৮ লাখের বেশি মানুষ। তৈরি হয়েছে খাবার সংকট।
দক্ষিণে বন্যা-উত্তরের খরায় বিপর্যস্ত চীন
বন্যার তান্ডব, অন্যদিকে খরায় নিষ্প্রাণ বিস্তীর্ণ অঞ্চল। চীনের দক্ষিণে মুষলধারে বৃষ্টি, বন্যা-ভূমিধসে ধ্বংসযজ্ঞ বেড়েই চলেছে তিনদিন ধরে। উত্তরে বৃষ্টির অভাবে ৯০ শতাংশ আয় হারিয়ে নিঃস্ব কৃষকরা। বানের তোড়ে খড়কুটোর মতো ভেসে যাচ্ছে ভবন, সেতু ও রাস্তাঘাট। বিধ্বংসী এ বন্যার দৃশ্য চীনের গুয়াংদং প্রদেশের।
এক বন্যার রেশ না কাটতেই দ্বিতীয় দফায় পানিবন্দি
চলতি বছরের দ্বিতীয় দফার বন্যায় এরিমধ্যে সিলেট বিভাগের ৩ জেলায় বন্যায় আক্রান্ত প্রায় ১৬ লাখ মানুষ। এক বন্যার রেশ কাটতে না কাটতেই দ্বিতীয় বন্যায় বিপর্যস্ত পুরো সিলেট। এর ফলে অঞ্চলে প্রতিনিয়তই বাড়ছে মানুষের দুর্ভোগ। এদিকে অতি বৃষ্টির সতর্কবার্তা রয়েছে।
ভারী বৃষ্টি হলেই নদীর পানি বেড়ে ভাঙে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ
বর্ষা এলেই আতঙ্কে দিন কাটে ফেনী জেলার নদী তীরবর্তী জনপদের বাসিন্দাদের। ভারী বৃষ্টি হলেই নদীর পানি বেড়ে ভাঙে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। লোকালয়ে প্রবেশ করে পানি। ক্ষতি হয় কোটি কোটি টাকার ফসলি জমি, নদীগর্ভে বিলীন হয় শেষ সম্বল। দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ দূর করতে ৮শ' কোটি টাকার প্রকল্প নেয়ার কথা বলছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।